মুস্তাফিজের এখনকার লড়াইটা স্বাভাবিক: মাশরাফি
মুস্তাফিজুর রহমানের কাঁধে অস্ত্রোপচার হওয়ার আগে যেমন বিধ্বংসী ছিল তাঁর বোলিং তা কিভাবে আবার ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে এখন দেদার আলোচনা চলছে।
২০১৫ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে আঘাত করে এই তরুণ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এছাড়াও, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এও চমৎকার পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। ইমার্জিং প্লেয়ারের পুরস্কারও এসেছিল তাঁর ঝুলিতে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-ও তাঁকে পুরস্কৃত করেছে।
কিন্তু, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে তাঁর বাম কাঁধে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর কেমন যেন ধার কমে যায় মুস্তাফিজের বোলিং অ্যাকশনে। ব্যাটসম্যানরা এখন সহজেই তাঁর বোলিং স্টাইল বুঝে ফেলতে পারছেন। বিশেষ করে, ছোট ফরমেটের খেলাগুলোতে।
তবে এ কথা বলা যাবে না যে মুস্তাফিজের বোলিংয়ের উজ্জ্বলতা ম্লান হয়ে গেছে। সম্প্রতি, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে এবং স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় তথা বাংলাদেশের ১০০তম টেস্ট ম্যাচটিতে তিনি অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন।
তারপরও, চলমান আইপিএলে ‘সানরাইজারস হায়দরাবাদ’ দলের একাদশে জায়গা করে নিতে বেশ বেগ পেতে হয় মুস্তাফিজকে।
মুস্তাফিজের ফর্ম নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন।
“দেখুন, এখন মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে যা ঘটছে তা স্বাভাবিক। তবে আগের ঘটনাগুলো ছিলো অস্বাভাবিক। এটা অবিশ্বাস্য যে, একজন বোলার তাঁর প্রথম পাঁচটি খেলায় ৩০টি উইকেট তুলে নিচ্ছেন। অথচ, এখন তাঁকে উইকেট পেতে কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে।”
মাশরাফির ভাষায়, “মুস্তাফিজের বয়স এখন ১৯ বা ২০ বছর। সে ইনজুরি থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে। সে এখন একটি কঠিন সময় পার করছে। যদি আমরা তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকি তাহলে বিষয়টি তাঁর জন্যে আরও কঠিন হয়ে উঠবে।”
অধিনায়কের মতে, মুস্তাফিজ দেশের সম্পদ তা সে প্রমাণ করতে পেরেছে। “আমি মনে করি, মুস্তাফিজের কাছ থেকে সবসময়ই অচিন্তনীয় কিছু আশা করা ঠিক হবে না। আমাদের প্রত্যাশা যদি বাস্তবমুখী হয় তাহলে আমি নিশ্চিত যে সে দেশের জন্যে আরও ১০ বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারবে।”
বা-হাঁতি বোলার মুস্তাফিজ মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরবেন। তারপর, উড়াল দিবেন ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে।
Comments