মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে ঐশীর যাবজ্জীবন

oishee
আদালতে নেওয়া হচ্ছে ঐশী রহমানকে। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজ রহমান ও স্ত্রী স্বপ্না রহমানের হত্যা মামলায় নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমানের মৃত্যুদণ্ডে সাজা কমিয়ে আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০১৩ সালে রাজধানীর চামেলীবাগে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছিল।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও মো জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির পর এই আদেশ দেন।

যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ঐশীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন আদালত।

আদালত তার রায়ের পর্যবেক্ষণে জানান, ঐশীর পূর্বের কোন অপরাধের নজির না থাকায় ও ঘটনার সময় মাদকাসক্ত হওয়ায় সাজা কমানো হয়েছে।

এর আগে ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর বাবা-মাকে হত্যার মামলায় ঐশীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন বিচারিক আদালত। নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন ঐশী।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার চামেলীবাগের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পরিদর্শক মাহফুজুর ও তার স্ত্রীর লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনার মামলায় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশী রহমান, তার বন্ধু জনি, রনি ও ১১ বছরের কাজের মেয়ে সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঐশী একাই তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডে ইন্ধন দিয়েছে জনি ও রনির বিরুদ্ধে ঐশীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনে পুলিশ। আর লাশ লুকানোর অভিযোগ ছিল শিশু সুমির বিরুদ্ধে।

Click here to read the English version of this news

Comments