যে কারণে খাবেন বীট
সব ধরনের সবজির মধ্যে বীটে সবচেয়ে বেশি চিনির উপাদান থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই নির্দ্বিধায় সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার বীট খেতে পারেন। এর সুস্বাদু মিষ্টি স্বাদের পাশাপাশি এর অনেক পুষ্টি উপাদান শরীর সুস্থ রাখতে নানাভাবে কাজে দেয়।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে: বীটের জুস মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে এক গ্লাস বীট জুস পান করলে মানুষের সিস্টোলিক রক্তচাপ গড়ে ৪-৫ পয়েন্ট কমে যায়।
শক্তি বাড়াতে: শরীর চর্চা বা ব্যায়ামেও বীট জুস অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। দেখা গেছে ব্যায়ামের আগে যারা বীট জুস পান করেন তারা অন্তত ১৬ শতাংশ বেশি সময় ধরে ব্যায়াম চালিয়ে যেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধে: একমাত্র বীটে থাকে বিটাইন নামের এক ধরনের পুষ্টি উপাদান যা বাইরের পরিবেশ থেকে শরীরের কোষ, প্রোটিন ও এনজাইমকে রক্ষা করে। সেই সাথে এটি প্রদাহ, অভ্যন্তরীণ অঙ্গ, পেশির সুরক্ষা ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে: যেসব ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের কারণে বীটের রঙ গাঢ় লাল হয় সেগুলোই আবার ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে বীটের রস বিভিন্ন প্রাণীর দেহে টিউমার কমাতে সাহায্য করে। মানুষের প্যানক্রিয়াটিক, স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় বীটের রসের কার্যকরিতা নিয়ে গবেষণা চলছে।
গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ও ফাইবার: শরীরের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এমন উপাদান যেমন ভিটামিন সি, ফাইবার, খনিজ উপাদান পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ উচ্চ মাত্রায় বীটে পাওয়া যায়। এসব ছাড়াও বীটের মধ্যে ভিটামিন বি ফলেট থাকে যা জন্মত্রুটি রোধে সহায়তা করে।
Comments