রাত জাগার পাঁচ কুফল

জীবনে নানা প্রয়োজনে আমাদের প্রায় সবাইকে কখনও না কখনও রাত জাগতে হয়। রাত জাগায় আপনি যদি অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন বা অসুবিধা মনে না হলেও এর বেশ কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে। রাত জাগার পাঁচটি কুফল সম্পর্কে জানুন এখানে:

মানসিক সমস্যার আশঙ্কা

গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রায়ই রাত জাগেন তাদের উদ্বিগ্নতা, অবসাদ ও বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভোগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমনকি রাতে না ঘুমানোর সঙ্গে আত্মহত্মার প্রবণতারও সম্পর্ক রয়েছে।

চেহারায় মলিনতা

এমনটা কি হয়েছে, নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়ার পরও ব্রণ বা চোখের চারপাশে কালো দাগ হচ্ছে। নিয়মিত রাত জাগা এর একটা কারণ হতে পারে। এই একই কারণে অকালে চেহারায় বয়সের ছাপ ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

কর্মোদ্যম কমে যাওয়া

ডাক্তাররা বলেন, রাতে মানুষের ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন যেন দিনের বেলা দেহ ও মন কর্মক্ষম থাকতে পারে। ঘুমে অনিয়ম মানুষের কাজের উদ্যম কমিয়ে দিতে পারে। এমনকি রাতে ঘুম কম হলে মানুষের ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।

রোগ প্রতিরোধে সমস্যা

গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত রাত জাগেন তাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শারীরিক স্থূলতা এমনকি স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে মানুষ যতো বেশি রাত জাগে ততই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে।

দেহ ঘড়িতে বিশৃঙ্খলা

মানবদেহ তার অভ্যন্তরীণ নানা কাজ দেহের নিজস্ব সময় অনুযায়ী চলে। যেমন, রাত ২টায় মানুষের ঘুম সবচেয়ে গভীর অবস্থায় থাকে। রাত জাগার ফলে দেহের নিজস্ব ঘড়িতে বিশৃঙ্খলা ও হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

অবশেষে বলা যায়, বিবর্তনগতভাবেই রাত মানুষের ঘুমানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। তাই প্রকৃতির বিরুদ্ধে না যাওয়াতেই মঙ্গল।

 

ছবি: কাজি তাহসিন আগাজ অপূর্ব

Comments

The Daily Star  | English

Trump says Iran has 'maximum' two weeks, dismisses Europe peace efforts

Israel's war with Iran entered its second week on Friday with the Israeli military chief warning of a "prolonged campaign"

3h ago