লাউয়াছড়ার গ্রাম থেকে হিমালয়ের শকুন উদ্ধার
মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী সংরক্ষক তবিবুর রহমান বিরল শকুন উদ্ধারের খবরটি নিশ্চিত করছেন। তিনি জানান, কমলগঞ্জ উপজেলার জালালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুসিম মিয়া পাখিটিকে আটক করেন। চিকিৎসা শেষে এটিকে লাউয়াছড়া বনে ছেড়ে দেওয়া হবে।
বন্যপ্রাণী গবেষক তানিয়া খান জানান, হিমালয়ের শকুন বিরল প্রজাতির পাখি।
“দেশে খুব বেশি দেখা যায় না এদের। হিমালয় পর্বতমালা, ভুটান, তিব্বত, চীন ও উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে এদের দেখা মেলে। তবে ডানায় ভর করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারে এরা,” বলেন তানিয়া খান।
তবিবুর রহমান জানান, যে শকুনটি উদ্ধার করা হয়েছে তার ডানা ৬-৭ ফুট লম্বা। সাধারণত এদের ওজন ১৫-২০ কেজি হয়। তবে যেটিকে উদ্ধার হয়েছে তার ওজন মাত্র ৬ কেজি। দীর্ঘ সময় পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ার কারণে এর ওজন কমে গেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সিলেট চ্যাপ্টারের আবদুল করিম কিম বলেন, লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি তাদের আবাসস্থল সংকটের দিকে নির্দেশ করে। খাবার খুঁজতে খুঁজতে পাখিটি হয়তো এদিকে চলে এসেছে। আমাদের উচিত বনের বাস্তুসংস্থানের দিকে নজর দেওয়া।
Comments