৫০তম টেস্টে পঞ্চাশে সাকিব প্রথম, পরেই তামিম
পরে নেমে আগে ফিফটি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তাঁকে ছুঁতে বেশিক্ষণ সময় নিলেন না তামিম ইকবাল। ক্যারিয়ারের পঞ্চাশতম ম্যাচ রাঙানোর অর্ধেক কাজ সেরে ফেলেছেন দুজন। বাংলাদেশের হয়ে পঞ্চাশতম টেস্টে ফিফটি করার রেকর্ড আগে ছিলো না কারো। বিপর্যয়ে জুটি বেঁধেছিলেন তাঁরা। পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে সব চাপ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন অসিদের দিকে। তাঁদের জুটি পেরিয়ে যায় শতরান। দলের রানও বেড়ে যায় তরতর করে। হয়ে যায় একটি রেকর্ডও।
অ্যাস্টন অ্যাগারকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের দিকে ঠেলেই দুই রান। ৬৬ বলে ৫০ পুরো করেন সাকিব। এতে রয়েছে ৮টি বাউন্ডারি। লায়নকে পেলেই জায়গা বের করে খেলেছেন ড্রাইভ। হ্যাজেলউড, কামিন্সদের পুল করে পাঠিয়ে দেন সীমানার বাইরে। তাঁর দাপটে সেটেলড হতে পারেননি কোন অস্ট্রেলিয়ান বোলার।
ওদিকে প্যাট কামিন্সের লাফিয়ে উঠা বল মাটিতে নামিয়ে ক্যারিয়ারের ২৩তম ফিফটি তুলে নেন তামিম। ৫০ করতে বল খেলেন ১১৯টি। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করেন সাকিব, ধীরস্থির খেলে তাতে ভারসাম্য রাখেন তামিম। তবে মারার বল পেলে ঠিকই উড়িয়ে দিয়েছেন সীমানার বাইরে। তাঁর ব্যাটে সবচেয়ে ভুগেছেন ন্যাথান লায়ন। অসিদের সেরা স্পিনারকে ইনসাইড আউটে কখনো এক্সট্রা কাভার দিয়ে মেরেছেন ছক্কা। আবার কখনো মিড উইকেট দিয়ে দিয়েছেন উড়িয়ে। তিন ছয়ের সবগুলোই লায়নের বলে।
সকালের অন্ধকার দূর করে আলো আনেন তাঁরা। বেলা বাড়তে আকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চড়াও হয়েছেন, চওড়া করেছেন তাঁদের ব্যাট।
সাকিব-তামিম জুটি যোগ করেছেন মূল্যবান ১৫৫ রান; তামিম ৭১ এবং সাকিব ৮৪ রান। পার্টটাইমার ম্যাক্সওয়েলের বলে ওর্য়ানারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। সাকিব ফিরে যান লায়নের বলে স্মিথের ক্যাচে।
টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তামিমের, সাকিব আছেন ঠিক পরেই। সাদা পোশাকে সর্বোচ্চ ইনিংস আবার সাকিব আল হাসানের, এখানে ঠিক পরের নামটিই তামিম। সাফল্যের দুই নায়ক এবারও দাঁড়িয়েছিলেন একসঙ্গেই, মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশে আশা আর অস্ট্রেলিয়ার কাঁটা হয়ে।
Comments