সুইস ব্যাংকে বাড়ছে বাংলাদেশিদের টাকা

Swiss bank deposits

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের টাকা জমা রাখার প্রবণতা প্রতি বছরই বাড়ছে ২০.১৮ শতাংশ হারে। গত বছর টাকা রাখা হয় ৬৬১.৯৬ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক বা ৫,৫৭৫ কোটি টাকা।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেবে বলা হয়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে রাখা হয়েছিলো ৪,৪২৩ কোটি টাকা এবং ২০১৪ সালে রাখা হয়েছিলো ৪,২৮৩ কোটি টাকা।

তবে এতে বাংলাদেশিদের হাতে থাকা কথিত কালো টাকার পরিমাণ কত তা বলা হয়নি।

অপরদিকে, সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের অর্থের পরিমাণ ২০১৫ সালের ১.২ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক থেকে কমে ২০১৬ সালে ৬৬৪ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্কে এসে দাঁড়ায়।

সুইস ব্যাংকে পাকিস্তানের নাগরিকদের অর্থের পরিমাণও কমেছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিলো ১.৩৮৬ বিলিয়ন ফ্রাঙ্ক যা ২০১৫ সালে ছিলো ১.৪৭৭ বিলিয়ন ফ্রাঙ্ক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের টাকা জমা রাখার মানে এই নয় যে সেই টাকা শুধু বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে অথবা তা অসদুপায়ে উপার্জিত অথবা হুন্ডি করে পাঠানো হয়েছে।

সুইস ব্যাংকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের টাকাও রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ থেকে টাকা অবৈধ উপায়ে গিয়েছে এমন প্রমাণ পেলে তা দেশে ফিরিয়ে আনার সক্ষমতা রয়েছে।”

গত ৬ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জাতীয় সংসদকে জানান, এটা সত্য যে হুন্ডি করে টাকা দেশের বাইরে পাঠানো হয়, কিন্তু তা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয়।

“আমরা হুন্ডির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারি। এর মানে হলো কালো টাকা তৈরির পথ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।”

তবে, বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইনটেগ্রিটি (জিএফআই) বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের একটি চিত্র দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া এক তথ্যে দেখা যায়, ২০১৪ সালে ছয় থেকে নয় বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে পাচার হয়ে গেছে।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

123 individuals 'pushed in' from India

BGB sends protest note to BSF; border on high alert

1h ago