সু চি’র সামনে শেষ সুযোগ: জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস। ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূল অভিযান বন্ধে অং সাং সু চি’র শেষ একটি সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, সু চি এখনই হস্তক্ষেপ না করলে এই ট্রাজেডি ভায়াবহ রূপ নিবে।

আগামী মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন অং সাং সু চি। গুতেরেস মনে করেন, রোহিঙ্গা নিধন বন্ধে সু চি সেদিন হস্তক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি এমন রূপ নিবে যা থেকে আর শুধরানোর পথ থাকবে না। এটাই তার শেষ সুযোগ।

বিবিসির হার্ট টক অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন গুতেরেস। অনুষ্ঠানে তিনি রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ারও কথা বলেছেন। সু চি ও রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন, “এখনই তিনি (সু চি) পরিস্থিতি বদলাতে না পারলে আমার মনে হয় পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। আর ভবিষ্যতে যে এই অবস্থার উত্তরণ হবে তেমন সম্ভাবনাও দেখি না আমি।”

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি থাকতে সু চি'র নিন্দায় ফের সরব হলেন গুতেরেস। অবশ্য সাধারণ পরিষদের অধিবেশন যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন সু চি। ধারণা করা হচ্ছে, সমালোচনা এড়াতেই তিনি এমনটা করছেন।

বিভিন্ন মানবাধিকার ও ত্রাণ সংস্থার পাশাপাশি জাতিসংঘও রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এটি যাতিগত নির্মূল অভিযানের পর্যায়ে পৌঁছেছে বলেও মিয়ানমারকে তারা সতর্ক করেছে। তবে সব অভিযোগ অগ্রাহ্য করে মিয়ানমার বলছে, গত মাসে রাখাইনে তল্লাশি চৌকি ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলাকারী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তারা অভিযান চালাচ্ছে। নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ ও রোহিঙ্গাদের গ্রামে আগুন দেওয়ার অভিযোগও তারা অস্বীকার করেছে।

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী অং সাং সু চি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী হিসেবে পরিচিত। সামরিক শাসনামলে দীর্ঘদিন গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন তিনি। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র তোপের মুখে রয়েছেন তিনি। তার নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নিতে প্রায় চার লাখ মানুষ দাবি জানিয়েছেন।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Over 14 million people could die from US foreign aid cuts: study

USAID had provided over 40 percent of global humanitarian funding until Trump returned to White House

9m ago