‘২০১৬ সালে দেশে ২৩ জন আদিবাসী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে’

গত ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সাঁওতালদের সঙ্গে চিনিকল কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় তিন জন সাঁওতাল নিহত ও পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। স্টার ফাইল ছবি

গত বছর পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের সংখ্যালঘুর আদিবাসীদের মধ্যে অন্তত ২৩ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। নিহতদের ছয় জন নারী। ২০১৬ সালে আদিবাসীদের নিয়ে এক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আদিবাসী হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে ভয়ানক ও নির্মম ঘটনাটি ছিলো গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তিন জন সাঁওতাল সেখানে পুলিশের হাতে নিহত হন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আজ সকালে ঢাকায় দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে কাপাং ফাউন্ডেশন এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাংলাদেশে বসবাসকারী আদিবাসী বিশেষ করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের জন্য সবচেয়ে সংকটময় বছর ছিলো ২০১৬।”

রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ-বাগদা ইক্ষু খামারের জমির মালিকানা দাবি করে গত বছর জুনে বাড়ি-ঘর বানাতে শুরু করে সাঁওতালরা। সেখানে প্রায় ১০০ একর জমিতে তারা ধান চাষ করেছিলেন।

কাপাইং ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বসবাসকারী আদিবাসী বিশেষ করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের জন্য ২০১৬ ছিলো সবচেয়ে সংকটময় বছর। ছবি: স্টার
গত ৬ নভেম্বর ওই জমি থেকে উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সাঁওতালদের সঙ্গে চিনিকল কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় তিন জন সাঁওতাল নিহত ও পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। অভিযোগ রয়েছে, সাঁওতাল তিনজন পুলিশের হাতে নিহত হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালে দেশজুড়ে ১৭ জন আদিবাসী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয় জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় আর দলগত ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নয় জন। এছাড়াও অন্তত ৫৩ জন আদিবাসী নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্যাতিতদের মধ্যে ২৮ জন পার্বত্য চট্টগ্রামের ও ২৫ জন সমতলের।

তবে রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৫ সালের তুলনায় গত বছর আদিবাসী নারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সামান্য কম হয়েছে। ২০১৫ সালে ৮৫টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার মধ্যে ৬৯টিই ঘটেছিল নারীদের ওপর।

প্রতিবেদনটির সম্পাদক ও কাপাইং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা জানান, বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে কাপাইং ফাউন্ডেশনের কর্মীরা এসব খবরের সত্যতা যাচাই করেছে।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

S Alam, associates laundered money thru shell firms

Mohammed Saiful Alam and his family have acquired vast wealth at home and abroad, using money siphoned off through loans taken in the name of front companies

8h ago