৫ মে যাত্রা শুরু করবে দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) আগামী ৫ মে দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে। যোগাযোগ ও দুর্যোগ মোকাবেলায় পাকিস্তান বাদে দক্ষিণ এশিয়ার সবগুলো দেশ এই স্যাটেলাইটের সুবিধা পাবে।
ইসরোর চেয়ারম্যান এএস কিরণ কুমার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে টেলিফোনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তারিখ সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। পিটিআইকে তিনি বলেন, “মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এটি পাঠানো হবে।”
ইসরোর কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, মে মাসের ৫ তারিখেই পৃথিবী ছেড়ে মহাশূন্যের পথে পাড়ি জমাবে দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা স্পেসপোর্ট থেকে জিএসএলভি-০৯ রকেট স্যাটেলাইটটিকে বহন করে নিয়ে যাবে।
কিরণ কুমার জানান, দুই হাজার ১৯৫ কেজি ওজনের স্যাটেলাইটটিতে রয়েছে ১২টি কু-ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার। এর জীবনকাল ধরা হয়েছে ১২ বছর। পুরো জীবনকাল ধরেই এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আন্ত যোগাযোগ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় তথ্য আদান প্রদান করবে।
তবে পাকিস্তান এই প্রকল্পে যুক্ত হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় স্যাটেলাইটটি থেকে তারা কোন সুবিধা পাবে না।
২০১৪ সালে কাঠমান্ডুতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সময় স্যাটেলাইটটির ঘোষণা আসে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটিকে তার দেশের তরফ থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য উপহার হিসেবে ঘোষণা করেন।
কিরণ কুমার জানান, কাঠমান্ডু সম্মেলনে এর নাম রাখা হয় ‘সার্ক স্যাটেলাইট’। কিন্তু পাকিস্তান এর সঙ্গে যুক্ত হতে অনীহা প্রকাশ করায় স্যাটেলাইটটির নাম পাল্টে রাখা হয় ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’।
স্যাটেলাইটটির কাজ সম্পর্কে ইসরো প্রধান জানান, “দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মূলত যোগাযোগ ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করবে এটি। স্যাটেলাইটটির মাধ্যমে দেশগুলোর ডিটিএইচ ও ভিস্যাট সক্ষমতাও বাড়বে।”
ইসরোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দেশ তাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের জন্য আলাদা আলাদা ৩৬ থেকে ৫৪ মেগাহার্টজ সক্ষমতার ট্রান্সপন্ডার ব্যবহার করতে পারবে।
Comments