“২০০০ সালের পরের ভারতকে মোকাবেলা করতে চাই”
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট শতক অর্জনকারী আমিনুল ইসলাম মনে করেন ২০০০ সালের ভারতের বোলিং আক্রমণ এখনকার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। কেননা, জহির খান ও জাভাগাল শ্রীনাথের মতো বোলাররা তখন ভারতীয় দলে খেলতেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “২০০০ সালের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, তখন ভারতীয় দলে খেলছেন শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, রাহুল দ্রাবিড়, জহির খান এবং জাভাগাল শ্রীনাথ। শুধুমাত্র অনীল কুম্বলে তখন ছিলেন না। আর তখন দলটি অনেক শক্তিশালী ছিল।”
আমিনুল মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট চালু হওয়ার পর ভারত আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। আক্রমণ করতে পারে এমন অনেক খেলোয়াড় দলে রাখা হয়েছে। দেশের মাটিতে তারা যে কোন দলকে হারিয়ে দিতে পারে।
স্ক্রলডটইনের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশর এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, “একজন ব্যাটসম্যন হিসেবে বলতে পারি, ২০০০ সালের ভারতের চেয়ে বর্তমান ভারতকে আমি মোকাবেলা করতে চাই। কারণ, এসময়ের রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বোলিং ছাড়া ২০০০ সালের ভারতের বোলিং আক্রমণ আরও ভালো এবং পরিণত ছিল।”
ভারতের বর্তমান ক্রিকেট দল সম্পর্কে আমিনুল ইসলামের মন্তব্য, “চেতেশ্বর পুজারা, মুরালি বিজয় এবং কেএল রাহুল সবাই খ্যাতমান ব্যাটসম্যান। এটা ভারতের একটা ঐতিহ্য যে তাদের ব্যাটিং লাইন খুবই শক্তিশালী।”
আমিনুল মনে করেন, বয়স-ভিত্তিক খেলা থেকেই ভারতের ব্যটিংয়ের ভিত্তি গড়ে উঠেছে। উমেশ যাদব একজন চমৎকার পেসার। এছাড়াও, রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন হলেন প্রধান বোলার। অশ্বিন অফ-স্পিন, লেগ-স্পিন এবং দোসরা বল করতে পারদর্শী।
“অশ্বিন এবং মুত্তিয়া মুরালিধরনের মধ্যে পার্থক্য হলো অশ্বিন দুই থেকে আড়াই ইঞ্চির মধ্যে বল ঘোরাতে পারেন। আর ব্যাটের পরিধি যেহেতু সাড়ে চার ইঞ্চি তাই ব্যাটের যেকোন কোণায় বলটি এসে পড়বেই। অবশ্য, জাদেজা যে কারো থেকে দ্রুত ব্যাট করতে পারে, যা তার বিপক্ষের খেলোয়াড়দের কাছে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে।”
বাংলাদেশের এই প্রাক্তন অধিনায়কের মতে, “আপনি যদি ভারত ও বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সম্ভাবনা বিষয়ে পর্যালোচনা করেন তাহলে দেখতে পাবেন বাংলাদেশের দক্ষতা রয়েছে স্পিন বোলিংয়ে এবং ভারত এই স্পিন ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারে। ফলে, আমরা একটি প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ খেলা উপভোগ করতে পারবো বলে আশা করি।”
Click here to read the English version of this news
Comments