তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ৩০ যুদ্ধবিমান পাঠালো চীন

তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ৩০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই অঞ্চলে ফাইটার জেট মোতায়েনের দাবি করেছে তাইওয়ান। 
তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী চীনা জে-১৬ ফাইটার জেট। এপি ফাইল ছবি

তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ৩০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই অঞ্চলে ফাইটার জেট মোতায়েনের দাবি করেছে তাইওয়ান। 

গতকাল তাইওয়ানের আকাশসীমায় ৩০টি চীনা যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করে। চলতি বছরের জানুয়ারির পর এটিই সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা।

বিবিসি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানে আক্রমণের বিরুদ্ধে চীনকে সতর্ক করার কয়েকদিন পর এবং দ্বীপ দেশটির নেতাদের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য এক মার্কিন কর্মকর্তার যাওয়ার দিনেই চীন তার সামরিক শক্তি প্রদর্শন করলো।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিমান অভিযানের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর বিষয়টিকে 'প্রশিক্ষণ ড্রিল' হিসেবে দাবি করে আসছে চীন।

তবে চীনের এ ধরনের আগ্রাসী মনোভাব তাইওয়ানকে ক্ষুব্ধ করেছে এবং এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দ্বীপ দেশটিকে দখলে নিয়ে নিতে পারে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চীনা বহরে ২২টি ফাইটার জেটসহ ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার, আগাম সতর্কবার্তা দানকারী ও সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত ছিল।

একটি মানচিত্র তুলে ধরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চীনা বহরটি প্রাতাস দ্বীপপুঞ্জের উত্তর-পূর্ব দিকের একটি এলাকায় উড়ছিল, যা তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলের (এডিআইজেড) অংশ।

তবে বহরটি সরাসরি তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। কেননা তা হলে তাইওয়ান বিষয়টিকে শত্রুতামূলক আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করতো বলেও জানায় বিবিসি।

Comments