সিনেমাটিক দৃশ্য দেখার লিফট
২০০২ সালের আগেও নিজ চোখে যে ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য্য দেখার জন্য দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হতো, কয়েক ঘণ্টার ক্লান্তিহীন যাত্রার পর বেঁচে থাকলে দেখার সুযোগ মিলতো। বর্তমানে সেখানকার ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা লিফট।
টপ চায়না ট্রাভেল ডট কমের তথ্য অনুসারে, চীনের হুনান প্রদেশের ঝাংজিয়াজির ১ হাজার ৭০ ফুটের বেইলং লিফটটি পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা ও দ্রুততম লিফট। ওয়ার্ল্ড ন্যাচারাল হেরিটেজ সাইট হিসেবে খ্যাত উলিঙ্গুয়ান সিনিক এরিয়ায় অবস্থিত এই লিফটটি ২ মিনিটে শত মাইলের পথ পাড়ি দিয়ে দর্শনার্থীদের পাহাড়ের শ্বাসরুদ্ধকর স্থানগুলো সহজে দেখার সুযোগ করে দেয়।
কাঁচঘেরা লিফটটির অর্ধেক অংশ পাহাড়ের মধ্যে অবস্থিত এবং উপরের অংশটি দর্শনার্থীদের চমৎকার দৃশ্য উপহার দেয়। খুব সম্ভবত ঝাংজিয়াজি ন্যাশনাল পার্কের ল্যান্ডস্কেপ পরিবেশ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই জেমস ক্যামেরন তার অ্যাভাটার (২০১০) মুভির এলিয়েন ওয়ার্ল্ড প্যান্ডোরায় ভাসমান হালেলুজাহ পর্বতমালার চিত্র উপস্থাপন করেছেন।
একটি জার্মান কোম্পানি বেলেপাথরের স্তম্ভগুলোর মধ্যে একটিতে টানেল এবং খাদ খনন করে হান্ড্রেড ড্রাগন এলিভেটর নামে লিফটটি তৈরি করেছিল। এটি নির্মাণে মোট খরচ হয় ১৮০ মিলিয়ন ইউয়ান বা ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাঠামোটি আসলে ৩টি দর্শনীয় লিফট নিয়ে গঠিত যা একে অপরের সমান্তরালে চলে।
প্রতিটি ডাবল-ডেকার লিফটে ৪৬ জন যাত্রী থাকে এবং এটির গতি প্রতি সেকেন্ডে ৫ মিটার বা ঘণ্টা প্রতি ১১ মাইল। লিফটটি প্রতি ঘণ্টায ৪ হাজার একমুখী যাত্রী বহন করতে পারে।
ডব্লিউটিভিএ-এর সংবাদে বলা হয়েছে, মহামারির আগে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার পর্যটক লিফটে ভ্রমণ করতেন।
রিপলি'স বিলিভ ইট অর নট থেকে অনুবাদ করেছেন আসরিফা সুলতানা রিয়া।
Comments