পৃথিবীর প্রবীণতম নারী জাপানের কানে তানাকা, বয়স ১১৯

কানে তানাকা, ২০২১। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

এখন পর্যন্ত জানা তথ্য অনুযায়ী জাপানের কানে তানাকা পৃথিবীর প্রবীণতম নারী। তিনি পা রেখেছেন ১১৯ বছরে।

গতকাল সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২ জানুয়ারি কানে তানাকার নাতির মেয়ে জুনকো তানাকা টুইটার পোস্টে তার প্রমাতামহীর ১১৯ বছরে পা রাখার সংবাদ জানান। সেই হিসেবে কানে তানাকা পৃথিবীর প্রবীণতম জীবিত নারী।

জুনকো তানাকা টুইটারে লিখেন, 'বিশাল প্রাপ্তি। (কানে তানাকা) ১১৯ বছরে পৌঁছেছেন। আশা করি, তিনি আনন্দের সঙ্গে জীবন কাটাবেন।'

পোস্টে তিনি কানে তানাকার ২টি ছবিও জুড়ে দেন।

জুনকো তানাকার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কোকা-কোলা কোম্পানি কানে তানাকার জন্য উপহার হিসেবে 'জন্মদিনের বোতল' পাঠিয়েছে। বোতলের গায়ে কানে তানাকার নাম ও বয়স উল্লেখ করা আছে।

জুনকো টুইটে আরও বলেন, 'এমন উপহার দেখে মনে হতে পারে কানে তানাকা এখনো কোকা-কোলা পান করেন।'

১৯০৩ সালে জন্ম নেওয়া কানে তানাকার বিয়ে হয় ১৯ বছর বয়সে। তার স্বামী ছিলেন চালের দোকানদার। কানে তানাকা ১০৩ বছর বয়স পর্যন্ত সেই দোকানে কাজ করেছিলেন।

বলাই বাহুল্য, কানে তানাকা তার জীবনে অনেক ঘটনা দেখেছেন। তার চোখের সামনে ঘটে গেছে ২টি বিশ্বযুদ্ধ। ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির পর তিনি চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারিও দেখলেন।

তার জীবদ্দশায় আয়োজন করা হয়েছে ৪৯ গ্রীষ্ম ও শীতকালীন অলিম্পিক গেমস।

গত বছর কানে তানাকার নাতি ইজি তানাকা সিএনএনকে বলেছিলেন, 'কানে তানাকাকে তার অতীত নিয়ে খুব একটা কথা বলতে শুনিনি। তার চিন্তাভাবনা ভবিষ্যতকে ঘিরে। তিনি বর্তমান সময়কে খুব উপভোগ করেন।'

কানে তানাকাকে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপের উত্তরাঞ্চলীয় ফুকুয়োকা শহরের একটি নার্সিং হোমে রাখা হয়েছে। পরিবারের তথ্য মতে, অংকের প্রতি কানে তানাকার আগ্রহ বেশি।

২০১৯ সালে কানে তানাকাকে বিশ্বের প্রবীণতম জীবিত নারী হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নথিভুক্ত করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has found assets worth nearly Tk 40,000 crore in five countries which it believes were bought with money laundered from Bangladesh, said the Chief Adviser’s Office yesterday.

6h ago