ইমরান খানের পতনে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ

রোববার করাচিতে ইমরানের সমর্থনে বিক্ষোভে শিশুরাও অংশ নেয়। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে পরাজয়ের মাধ্যমে পতন হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। তবে তার ক্ষমতাচ্যুতির পর রোববার দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করেছে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকেরা।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানায়, রোববার করাচি, পেশোয়ার, ইসলামাবাদ, লাহোর, অ্যাবোটাবাদ, মুলতান, খাইবার, কোয়েটা, মালাকান্দ, খানেওয়াল, ঝাং, ওকারা শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে শনিবার ইমরান এক টুইটবার্তায় বলেছিলেন, তিনি দেশের 'ক্ষমতা পরিবর্তনে বিদেশি ষড়যন্ত্রের' বিরুদ্ধে একটি 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' শুরু করেছেন।

এতে দেশবাসীর সমর্থন চেয়ে তিনি বলেছিলেন, 'সবসময় জনগণই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করে।'

পিটিআই মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী রোববার ইসলামাবাদে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জনগণের প্রতি বিক্ষোভের আহ্বান জানান।

ইমরানের পতনের পর রোববার পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করে সমর্থকরা। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, ইমরান খান একটি আন্দোলনের নেতৃত্ব না দিলে 'দেশের রাজনীতি ও সংবিধানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা' শুরু হবে।

দলটি পরে দেশের বিভিন্ন শহরে রাত সাড়ে ৯টায় বিক্ষোভের আহ্বান জানায়।

রাজধানী ইসলামাবাদের জিরো পয়েন্টে পিটিআই সমর্থকরা জড়ো হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে।

পেশোয়ারে নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী প্রেসক্লাবে উপস্থিত হন এবং ইমরানের সমর্থনে শ্লোগান দেন।

তারা পাকিস্তানের ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট পার্টির প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রধানদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন।

লাহোরে পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহার তার নির্বাচনী এলাকা থেকে লিবার্টি চক পর্যন্ত একটি র‍্যালি করেছেন।

পিটিআই সিনেটর এজাজ চৌধুরী লিবার্টি মার্কেট পর্যন্ত একটি সমাবেশের ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শ্লোগান শোনা গেছে বলে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

করাচিতে রশিদ মিনহাজ রোডের বিক্ষোভে নারী ও শিশুসহ বিপুল সংখ্যক পিটিআই সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় পিটিআই নেতৃবৃন্দসহ সিন্ধু বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা হালিম আদিল শেখও উপস্থিত ছিলেন বিক্ষোভে।

বিক্ষোভকারীরা 'আমদানি করা সরকারের' পাশাপাশি পিপিপি চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago