এলটিটিই’র সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে ভারতের কাছে তথ্য চেয়েছে শ্রীলঙ্কা

ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ ঘোষিত লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) সম্ভাব্য হামলার এক সংবাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে কলম্বো।
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর ২০০৯ সালে এলটিটিইকে পরাজিত করার সংবাদে উল্লাস প্রকাশ করছেন এক নাগরিক। ফাইল ছবি: রয়টার্স
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর ২০০৯ সালে এলটিটিইকে পরাজিত করার সংবাদে উল্লাস প্রকাশ করছেন এক নাগরিক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ ঘোষিত লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) সম্ভাব্য হামলার এক সংবাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে কলম্বো।

গত ১৩ মে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে 'এলটিটিই শ্রীলঙ্কায় ১৮ মে হামলার পরিকল্পনা করছে' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয় দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুতে। এ সংবাদের সূত্র ধরে শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দিল্লির কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।

আজ রোববার শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম কলম্বো গ্যাজেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে জানায়, উল্লেখিত তথ্য সম্পর্কে জানতে চাওয়ার পর ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, সাধারণ তথ্য হিসেবে তারা এটি জানিয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা আরও তদন্ত করবে। তারা আরও জানায়, শ্রীলঙ্কাকে তদন্তের ফলাফল জানানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে, এলটিটিই'র সাবেক ক্যাডাররা গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে ডুবে থাকা দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় হামলা চলানোর জন্য আবারও সংগঠিত হচ্ছেন।

শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সম্ভাব্য এই হামলার সতর্কবার্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ধরনের তথ্য পেলে তার সুষ্ঠু তদন্ত করবে শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দারা। এ ছাড়াও, সার্বিকভাবে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনীদের এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।

২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে এলটিটিই কে পরাজিত করার ঘোষনা দেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

২০০৯ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কা এলটিটিইর বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করে। ১৯৮৩ সালের পর প্রথমবারের মত সরকারি বাহিনীর হাতে সারা দেশের নিয়ন্ত্রণ আসে। সংসদে এ বিষয়ে ঘোষণা দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। 

 

Comments

The Daily Star  | English
Civil society in Bangladesh

Our civil society needs to do more to challenge power structures

Over the last year, human rights defenders, demonstrators, and dissenters have been met with harassment, physical aggression, detainment, and maltreatment by the authorities.

8h ago