‘কাশ্মীর নিয়ে কথা বলবে তালেবান’

তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহীন। ছবি: এএফপি

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মুসলমানদের জন্যে 'কথা বলার' আগ্রহ প্রকাশ করেছে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালেবান।

গতকাল শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি'র প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, তালেবানের এক মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বিবিসি হিন্দি সার্ভিসকে বলেছেন, 'মুসলমান হিসেবে আমাদের কাশ্মীর, ভারত ও অন্য দেশের মুসলমানদের নিয়ে কথা বলার অধিকার আছে।'

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর কাশ্মীর বিষয়ে তালেবানের পক্ষ থেকে এই প্রথম মন্তব্য করা হলো বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি সিএনএন-নিউজ১৮-কে এক সাক্ষাৎকারে তালেবান নেতা আনাস হাক্কানি বলেছিলেন, 'কাশ্মীর আমাদের আলোচনার বিষয় নয় এবং সেখানে হস্তক্ষেপ করা আমাদের নীতিবিরুদ্ধ।'

পাকিস্তান-ভিত্তিক এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আলোচনার মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানকে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে বলেছিলেন।

তবে সুহাইল শাহীন বিবিসিকে বলেছেন, অন্য কোনো দেশে সশস্ত্র সংগ্রাম চালানোর বিষয়ে তালেবানের কোনো 'নীতি ছিল না'।

তার এই মন্তব্য এমন সময় এলো যখন তালেবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখ সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

আফগানিস্তানে তালেবান শক্তিশালী হওয়ার পর ভারতের অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন যে, পাকিস্তানের ভারতবিরোধী সংগঠনগুলোর কারণে তালেবান ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের দিকে দৃষ্টি ফেরাতে পারে।

বহুল প্রচারিত এক টেলিভিশন ক্লিপে দেখা গেছে, পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন পিটিআই নেতা নীলম ইরশাদ শেখ বলেছেন, 'তালেবান বলেছে তারা আমাদের সঙ্গে আছে এবং তারা কাশ্মীরের (স্বাধীনতা) বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করবে।'

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন সরাসরি তালেবানের সঙ্গে কথা বললেও ভারত এখন পর্যন্ত 'ধীরে চলো' নীতি মেনে চলছে।

নয়াদিল্লি-ভিত্তিক সংস্থা কার্নেজি ইন্ডিয়া'র মতে, কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসসহ অন্যান্য ভারতীয় স্থাপনায় হামলার পেছনে হাক্কানি গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা আছে।

তবে সুহাইল শাহীনের দাবি, এটি হাক্কানিদের বিরুদ্ধে শুধুই একটি অভিযোগ। তিনি বলেন, 'হাক্কানিরা আলাদা কোনো সংগঠন নয়। তারা আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাতের অংশ। তারাই আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাত।'

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সম্প্রতি বলেছেন, 'তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্ক দুটি আলাদা সংগঠন।'

Comments