ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দরপতন অব্যাহত
বেশ কিছুদিন ধরে পাকিস্তানে চলছে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট। এরমধ্যে নতুন সরকার দায়িত্ব নিলেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, আজ শুক্রবারও মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রা রুপির অবমূল্যায়ন অব্যাহত রয়েছে।
১ দশমিক ২৩ রুপি অবমূল্যায়নের পর আজ ডলারের বিপরীতে ১৯৩ রুপি বিনিময় মূল্য নির্ধারিত হয়েছে। গত সোমবার থেকে ৫ দফায় ডলারের বিপরীতে প্রায় ৩ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে পাকিস্তানের মুদ্রার।
এর পেছনে কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বাড়তে থাকা বাণিজ্য ঘাটতি, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সর্বনিম্ন পর্যায়ে আসা এবং আইএমএফের কাছ থেকে সহায়তামূলক তহবিল আসার বিষয়ে দীর্ঘসূত্রিতার কথা উল্লেখ করেন।
এক্সচেঞ্জ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের (ইক্যাপ) চেয়ারম্যান মালিক বোস্তান জানান, বাড়তে থাকা বাণিজ্য ঘাটতি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা রুপির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।
'যখন নতুন সরকার দায়িত্ব নিলো, তখন রুপি রেকর্ড পরিমাণ বিনিময় মূল্য ১৮৯ থেকে কমে ১৮১-তে নেমেছে। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লংমার্চের ঘোষণা দেওয়ার পর আবারও বিনিময় মূল্য আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়', যোগ করেন তিনি।
বোস্তানের আশঙ্কা, যদি রাজনৈতিক সংকট চলতে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রসঙ্গে তিনি জানান, আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা হওয়া খুবই জরুরি। থমকে যাওয়া আলোচনাকে পুনরুজ্জীবিত করতে সরকারকে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ইক্যাপ চেয়ারম্যান বলেন, 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যাংককেও (এসবিপি) মুদ্রার দরপতন ঠেকানোর উদ্যোগ নিতে হবে।'
তিনি আরও জানান, রুপির বিনিময় মূল্য চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে নির্ধারিত হতে পারে না।
বোস্তানের মতে, যদি ইমরান খান লংমার্চের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন, তবে রুপি-ডলারের ভারসাম্য ফিরে আসতে পারে।
'নতুন সরকারের উচিৎ পিটিআই নেতৃত্বাধীন সাবেক সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্কে সময় নষ্ট না করে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া', যোগ করেন তিনি।
বিশ্লেষক বোস্তানের পূর্বাভাস, বর্তমান ধারায় শিগগির ডলারের বিনিময় মূল্য ১৯৫ রুপিতে পৌঁছাতে পারে।
Comments