নিজস্ব প্রযুক্তির রকেট মহাকাশে পাঠাচ্ছে দ. কোরিয়া

ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

উত্তর কোরিয়ার মাঝেমধ্যে রকেট (ক্ষেপণাস্ত্র) পরীক্ষার দৃশ্য বিশ্বসংবাদ হয়। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের তৈরি রকেট পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় দক্ষিণ কোরিয়া আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার এই ৩ স্তর বিশিষ্ট কেএসএলভি-২ নুরি রকেটটির আজ স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় নারো মহাকাশকেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। সেজন্যে আবহাওয়া তথা বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে বাতাসের গতিবেগ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

কোরিয়ান ভাষায় নুরি হচ্ছে 'বিশ্ব'। এটি ১ দশমিক ৫ টন ওজনের পেলোড পৃথিবীর কক্ষপথে ৬০০ কিলোমিটার থেকে ৮০০ কিলোমিটারের মধ্যে রাখবে।

রকেটটির প্রথম স্তরের ওজন ৭৫ টন, দ্বিতীয় স্তরের ওজনও ৭৫ টন এবং তৃতীয় স্তর তথা রকেট ইঞ্জিনের ওজন ৭ টন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বার্তায় বলা হয়েছে, 'সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।'

কোরিয়া অ্যারোস্পেস রিসার্চ ইনস্টিউটিট'র (কেএআরআই) পর্যবেক্ষণে থাকা ২০০ টনের রকেটটি গতকাল উৎক্ষেপণস্থানে এনে এর পজিশন মতো রাখা হয়েছে।

রকেটের তরল জ্বালানি তৈরিতে কাজ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার হানওয়া শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নুরির সফল উৎক্ষেপণের পর দক্ষিণ কোরিয়া বেশ কয়েকটি সামরিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে। তবে 'নুরি'কে সামরিক কাজে ব্যবহার করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নাকচ করেছে।

এর আগে বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়া রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল। সেই রকেটটি রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে উন্নয়ন করা হয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

1h ago