মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় পোশাক নয়: কর্নাটক হাইকোর্ট
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব কিংবা গেরুয়া উত্তরীয় এমন যে কোনো ধর্মীয় পোশাক না পরতে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এমন পোশাক পরা যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার, আদালতের তিন সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আরও জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস শুরু করতে পারে।
স্কুল ও কলেজে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে কর্নাটক রাজ্য সরকারের দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন শিক্ষার্থীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ আওয়াস্থি, বিচারপতি জে এম খাজি এবং বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিতের সমন্বয়ে গঠিত কর্ণাটক হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আরও জানান, তারা দ্রুত এই বিষয়ের সমাধান করতে চান, তবে ততদিন পর্যন্ত শান্তি বজায় রাখতে হবে।
বিচারপতি অবস্থি বলেন, 'বিষয়টির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ ধর্মীয় কোনো প্রতীক পরিধান করতে পারবে না।'
তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে। স্কুল-কলেজ চালু হোক। কিন্তু যতক্ষণ বিষয়টির সমাধান না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী ধর্মীয় পোশাক পরার চেষ্টা করবে না।'
আবেদনকারীদের আইনজীবী দেবদত্ত কামাত এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেন, এধরনের নির্দেশ সংবিধানের ২৫ ধারায় দেওয়া অধিকার ক্ষুন্ন করে। তবে বিচারপতি আওয়াস্থি একে সাময়িক নির্দেশ জানিয়ে ততদিন পর্যন্ত সহযোগীতার অনুরোধ করেন।
গতকাল, বুধবার, মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়।
উদুপির একটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মাথায় স্কার্ফ পরা নিয়ে সেখানে হিজাব বিতর্ক শুরু হয়। এর বিপরীতে কিছু হিন্দু ছাত্র গেরুয়া উত্তয়ীয় পরা শুরু করে।
এই ঘটনা কর্ণাটকের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়ে এবং এই সপ্তাহের শুরুর দিকে কিছু জায়গায় তা হিংসাত্মক রূপ নেয়। এমন অবস্থায় সরকার গত বুধবার থেকে তিন দিনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের আদেশ দেয়।
এদিকে, কর্ণাটকের হাইকোর্ট থেকে হিজাব সংক্রান্ত এই মামলাটি স্থানান্তরের একটি আবেদন আজ নাকচ করে দিয়েছে দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ বলেছেন, কর্ণাটক হাইকোর্টেই মামলাটি চলবে।
Comments