সিউলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি কিমের বোনের

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়ায় হামলা চালানোর সক্ষমতা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আক্রমণাত্মক মন্তব্যের নিন্দা করে উত্তর কোরিয়ার হুমকি, দক্ষিণ কোরিয়া পূর্বনির্ধারিত স্ট্রাইকের মতো কোনো 'বিপজ্জনক সামরিক পদক্ষেপ' নিলে সিউলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং আজ রোববার এ হুমকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেসিএনএ'র বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, কিম ইয়ো জং এক বিবৃতিতে বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন মন্তব্য আন্ত-কোরীয় সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং সামরিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সুহ উক বলেন, তাদের সেনাবাহিনীর কাছে 'উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত' নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আছে, যা উত্তর কোরিয়ার যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। 

উত্তর কোরিয়াকে 'শত্রু' উল্লেখ করে সুহ উক আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকির বিষয়ে অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়া জানানোর সক্ষমতা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস ডিপার্টমেন্ট ডিরেক্টর কিম ইয়ো জং বলেন, তার দেশ এখন 'অনেক কিছুই পুনর্বিবেচনা করবে' এবং এ ধরনের মন্তব্যের কারণে দক্ষিণ কোরিয়া 'গুরুতর হুমকির সম্মুখীন হতে পারে'।

আজ অপর এক বিবৃতিতে কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি পাক জং চোন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী পূর্বনির্ধারিত স্ট্রাইকের মতো কোনো 'বিপজ্জনক সামরিক পদক্ষেপ' নিলে উত্তর কোরিয়া 'ক্ষমাহীনভাবে তার সমস্ত সামরিক শক্তিকে সিউল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে'।

তবে সিউলের 'গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু' বলতে কী বুঝানো হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি উত্তর কোরিয়া।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago