এনু-রুপনসহ ১১ জনের অর্থপাচার মামলার রায় পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল

ক্যাসিনো মামলার পলাতক সহোদর আসামি এনামুল হক এনু এবং রুপন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ১৩ জানুয়ারি ২০২০। ছবি: সংগৃহীত

ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচনায় উঠে আসা আওয়ামী লীগের গেন্ডারিয়া ইউনিটের সাবেক সহসভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অর্থপাচার মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ এই মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত ছিল। বিচারক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ছুটিতে থাকায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৫ এপ্রিল করা হয়েছে।

আদালত সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, অসুস্থতার কারণে বিচারক ছুটি নিয়েছেন। যে কারণে ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. মনির কামাল নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

গত ১৬ মার্চ বিচারিক আদালত এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। ২ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের হওয়া এই মামলার মোট আসামি ১১ জন।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক সাদেক আলী ২০২০ সালের ২৬ জুলাই এনু ও রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত বছরের ৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

মামালার বাকি আসামিরা হলেন—তাদের ৩ ভাই শহীদুল হক ভূঁইয়া, রাশিদুল হক ভূঁইয়া ও মেরাজুল হক ভূঁইয়া, মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার এবং তাদের সহযোগী তুহিন মুন্সী, নবীর হোসেন সিকদার, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ ও পাভেল রহমান।

এদের মধ্যে এনু, রুপন, জয় গোপাল, নবীর হোসেন, আজাদ ও সাইফুলকে ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়ারী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। একই মামলায় এর আগে তুহিনকে গ্রেপ্তার করার পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। শহীদুল, রশিদুল, মেরাজুল ও পাভেল পলাতক।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৩ এর পরিদর্শক মো. জিয়াউল হাসাব বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনু ও আজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এনু ও রুপনের বিরুদ্ধে এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে আরও ১২টি মামলা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

How is the economy doing?

The silver lining is that the economy isn’t falling apart

1h ago