কবর থেকে তোলা হলো কুয়েট শিক্ষক ড. সেলিমের মরদেহ

ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের আদেশে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
kustia_selim_15dec21.jpg
ছবি: স্টার

ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের আদেশে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রামের একটি কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইমলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, মরদেহ উত্তলোনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গতকাল বিকেলে খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারের পাঠানো চিঠি তিনি হাতে পান। রাতে সম্ভব না হওয়ায় আজ সকালে মরদেহ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

গত ৫ ডিসেম্বর কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিচুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে 'অস্বাভাবিক মৃত্যু' উল্লেখ করে সঠিক কারণ অনুসন্ধানে মরদেহ উত্তোলন করে পুনঃতদন্তের অনুরোধ করে জেলা পুলিশকে চিঠি দেন। পরবর্তীতে খুলনার খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান কবর থেকে মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন।

গত ৩০ নভেম্বর দুপুর ৩টার দিকে মারা যান কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। তিনি কুয়েটের লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ছিলেন।

সূত্র জানিয়েছে, কুয়েটে বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি সরকারি চাকরি পাওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ভাগ হয়ে গেছে কয়েকটি দলে। এর মধ্যে একটি প্রভাবশালী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান।

সম্প্রতি কুয়েটের লালন শাহ হলে ছাত্র আবাসিক হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার প্রচেষ্টার অভিযোগ ওঠে সেজান প্যানেলের বিরুদ্ধে।

তারা হল প্রভোস্ট ড. সেলিম হোসেনকে নিয়মিত হুমকি দিতেন তাদের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেজানের নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসের রাস্তায় ড. সেলিমকে জেরা শুরু করে। পরবর্তীতে তার সঙ্গেই তড়িৎ প্রকৌশল ভবনে প্রবেশ করে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধাঘণ্টা ওই শিক্ষকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।

পরবর্তীতে ড. সেলিম দুপুরের খাবার খেতে ক্যাম্পাস নিকটস্থ নিজ বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। পরে, দরজা ভেঙে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Dos and Don’ts during a heatwave

As people are struggling, the Met office issued a heatwave warning for the country for the next five days

1h ago