কুষ্টিয়ায় আ. লীগ নেতার ভেজাল গুড়ের কারখানায় র‍্যাবের অভিযান

কুষ্টিয়ায় খোকসায় আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ বিশ্বাসের ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব। এসময় ভেজাল গুড় তৈরিতে ব্যবহৃত ৫০০ বস্তা চিনি, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
ভেজাল গুড়ের কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় খোকসায় আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ বিশ্বাসের ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব। এসময় ভেজাল গুড় তৈরিতে ব্যবহৃত ৫০০ বস্তা চিনি, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে অভিযানের সময় কারখানার দুজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন দিলীপ বিশ্বাস। তিনি খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলার পৌর আওয়ামী লীগের এক অংশের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (প্রস্তাবিত)। তার প্রতিষ্ঠানের নাম দিলীপ ট্রেডার্স। খোকসা থানার গা ঘেঁষে তার ভেজাল গুড়ের কারখানা।

ভেজাল গুড় উৎপাদনের অভিযোগে দিলীপ বিশ্বাস এর আগে একাধিকবার পুলিশ ও র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে নিয়মিত আদালতেও তার সাজা হয়েছে। এর পরও তার কারবার বন্ধ হয়নি। থেমে থেকে কিছুদিন পরই আবার তিনি ভেজাল গুড় উৎপাদন শুরু করেন।

জানা গেছে, গত বছরের আগস্ট মাসে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত দিলীপ ট্রেডার্সকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছিল। সেই সঙ্গে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় দিলীপ ও তার ছোট ভাই রাজকুমার বিশ্বাসকে। সিলগালা করে দেওয়া হয় কারখানাটি। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় খোকসা থানায়।

ওই মামলায় কুষ্টিয়ার একটি আদালতে তিন মাসের জেল হয় দিলীপের। জেল থেকে বেরিয়ে এসে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি আবার কারখানা চালু করেন।

খোকসা থানা সূত্রে জানা যায়, দিলীপ, তার ভাই রাজকুমার ও আরেক ভাই ষষ্ঠী বিশ্বাসের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় এ পর্যন্ত সাতটি মামলা হয়েছে।

যেভাবে ভেজাল গুড় তৈরি হয়

গুড় তৈরি করতে প্রয়োজন হয় আখের রস। কিন্তু, এখানে আখের রসের কোনো বালাই নেই। দিলীপের কারখানায় গুড় তৈরির প্রধান উপাদান চিটাগুড় ও ময়দা। নির্দিষ্ট মাত্রায় ময়দা ও চিটাগুড়ের সঙ্গে পানি, চিনি মিশিয়ে চুলায় গরম করে একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে কাপড়ের লাল রঙ ও নানা রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে 'গুড়' তৈরি হয়।

ভ্রমমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ হাসান বলেন, পুরো প্রক্রিয়ার কোনো স্তরেই স্বাস্থ্যসম্মত বলে কিছুই নেই। কারখানাটিতে প্রতি সপ্তাহে কয়েক টন গুড় তৈরি হচ্ছিল। সাভার, কেরানীগঞ্জ, কারওয়ানবাজার, নরসিংদী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এই গুড় পাঠানো হতো।

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

18h ago