কে হবেন পরবর্তী প্রধান বিচারপতি

বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার অবসরে যাবেন। কারণ, এর পরের দিন তিনি ৬৮ বছরে পা দেবেন।
সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, 'এই অনুচ্ছেদের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোন বিচারক সাতষট্টি বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।'
তবে, বাংলাদেশের পরবর্তী (২৩তম) প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং রাষ্ট্রপতি কখন নিয়োগের ঘোষণা দেবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
আর তাই এই নিয়ে আলোচনা চলছে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাষ্ট্রপতি নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন। তিনি কাকে এবং কখন নিয়োগ দেবেন তা আমি জানি না। সংবিধান অনুযায়ী এটি করার একমাত্র এখতিয়ার তারই রয়েছে।'
সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাজনৈতিক বিষয় ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে আপিল বিভাগের ৪ বিচারপতির মধ্য থেকেই পরবর্তী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হবে।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র অনুযায়ী, আপিল বিভাগের বর্তমান বিচারপতিদের মধ্যে বিচারপতি মুহাম্মদ ঈমান আলী ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ২০২৩ সালের ৩০ জুন এবং বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০২৬ সালের ১০ জানুয়ারি অবসরে যাবেন।
জ্যেষ্ঠতা না মেনে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের জের ধরে এর আগে বিচারপতির পদত্যাগের নজিরও তৈরি হয়েছে।
জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করার পর প্রায় ৩ মাস প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য ছিল। এ সময় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। কিন্তু তাকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব না দিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে দেওয়া হয়।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
ওই দিনই পদত্যাগ করেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।
এর আগে বিচারপতি কে এম হাসান, বিচারপতি সৈয়দ জেআর মুদাসির হোসেন, বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন, বিচারপতি মো. তাফাজ্জুল ইসলাম, বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক এবং বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনকে জ্যেষ্ঠতা উপেক্ষা করে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছিল।
Comments