দুদকে বাছিরের মতো আরও বাছির আছে: ডিআইজি (বরখাস্ত) মিজান

আজ বুধবার রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় মিজানুর রহমানকে। ছবি: এমরুল হাসান বাপ্পী/স্টার

দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের মতো আরও অনেক বাছির আছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান।

আজ বুধবার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে মিজানুর রহমানের ৩ বছর ও খন্দকার এনামুল বাছিরের ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

রায় ঘোষণার পর দ্য ডেইলি স্টারকে মিজানুর রহমান বলেন, 'আদালতে প্রমাণিত হয়েছে যে আমাকে ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়েছে।'

দুদকে খন্দকার এনামুল বাছিরের মতো আরও কর্মকর্তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'অবশ্যই আছে। দুদকে বাছিরের মতো আরও বাছির আছে।'

আজ বুধবার রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয় খন্দকার এনামুল বাছিরকে। ছবি: এমরুল হাসান বাপ্পী/স্টার

ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আসামি মিজানুর রহমান ও খন্দকার এনামুল বাছির আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এবং ১২ জানুয়ারি লিখিত বক্তব্য দিয়ে আদালতকে জানান, 'ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানি করতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।'

দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল ২৪ জানুয়ারি একই আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার, একজন সংবাদ উপস্থাপককে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। নারী নির্যাতনের অভিযোগে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ২৪ জুন মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। সে সময় মিজান অভিযোগ করেন, এনামুল বাছির তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন।

এই অভিযোগ ওঠার পরে ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।

Comments