বসুন্ধরা এমডির বিরুদ্ধে মামলা: প্রতিবেদন জমার তারিখ আবারও পেছাল

রাজধানীর গুলশান এলাকায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৭ মে জমা দিতে বলেছেন আদালত।
সায়েম সোবহান আনভীর। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান এলাকায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৭ মে জমা দিতে বলেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করে এই আদেশ দেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম মুক্তার আশরাফুদ্দিন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

আনভীরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ১৭ মে আদালত আদেশ দেবেন।

আদালত সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়ে পিবিআই এ পর্যন্ত ১১ বার সময় চেয়ে আবেদন করল। সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ আদালত সময় বাড়িয়ে আদেশ দিয়েছিলেন।

গুলশানের একটি বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পরে গত বছরের ২৬ এপ্রিল ২১ বছর বয়সী কলেজছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল হাসান ১৯ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ১৮ আগস্ট আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন এবং আনভীরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এরপর ৬ সেপ্টেম্বর কলেজছাত্রীর বড় বোন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সায়েম সোবহান আনভীরকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম এবং আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

তারা হলেন—শাহ আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা, সাফিয়া রহমান মিম, ইব্রাহিম আহমেদ রিপন ও তার স্ত্রী শারমিন।

এদের মধ্যে মিমকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাবরিনা, রিপন ও পিয়াসা বর্তমানে জামিনে আছেন।

Comments

The Daily Star  | English
World Press Freedom Day 2024

Has Bangladesh gained anything by a restrictive press?

The latest Bangladesh Bank restriction on journalists is anti-democratic, anti-free press and anti-public interest.

10h ago