বাগেরহাটে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাদীকে ধর্ষণ ও ২ নাতনিকে হত্যার দায়ে বাচ্চু মৃধা নামে ৫৬ বছর বয়সী একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায়ের পর বাচ্চু মৃধাকে আদালত থেকে আসামিদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাদীকে ধর্ষণ ও ২ নাতনিকে হত্যার দায়ে বাচ্চু মৃধা নামে ৫৬ বছর বয়সী একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মোহাম্মদ নূরে আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

এ ছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার অন্য আসামি খোকন খানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত বাচ্চু মৃধা মোরেলগঞ্জ উপজেলার পয়লাতলা এলাকার বাকের মৃধার ছেলে। খালাস পাওয়া খোকন খান একই উপজেলার সমদ্দারখালী এলাকার মৃত আসমত খানের ছেলে।

নিহতরা হলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার পয়লাতলা গ্রামের লোকমান হোসেন বাবুর ছেলে মিরাজুল (৯) ও মোহাম্মদ ইমন ওরফে রিয়াজুল ইসলাম (৬)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পয়লাতলা গ্রামের ফরহাদ মৃধার বাড়ির বারান্দায় মিরাজুল ও রিয়াজুল দাদির সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ১১টার দিকে বাচ্চু মৃধাসহ কয়েকজন গিয়ে তাদের নানীকে ধর্ষণ করেন। আসামিদের মধ্যে হাতাহাতির একপর্যায়ে বিষয়টি টের পেয়ে মিরাজ ও রিয়াজুল জেগে ওঠে। তাদের দাদীকে হত্যা করছে বলে তারা চিৎকার করে।

এরপর আসামিরা মিরাজুল ও রিয়াজুলকে হত্যা করে বাড়ির পাশের খাদে ফেলে দেয়। খুনিরা তাদের দাদীকেও মারধর করার পর মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়। পরদিন ২ সন্তানের বাবা লোকমান হোসেন বাবু বাদী হয়ে বাচ্চু মৃধাসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১০ জুলাই মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করে। আদালত ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বাচ্চু মৃধাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলায় খালাস পেয়েছেন আসামি খোকন খান।

Comments