ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ মামলার প্রধান আসামি দোকান মালিক বিএনপি নেতা মকবুল

ছবি: স্টার

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে ৩টি মামলা হয়েছে।

তার মধ্যে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা করেছেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির। মামলায় পুলিশের কাজে বাঁধা, পুলিশের ওপর হামলা, ইট-পাটকেল ছুড়ে জখম ও ভাঙচুরের অভিযোগে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৮ এপ্রিল রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙচুর থামানোর চেষ্টা করি। পরে শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেটের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। শিক্ষার্থীদের বাধা দিলে তারা নিউমার্কেট থেকে ঢাকা কলেজের দিকে চলে যায় এবং কলেজের গেটের সামনে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দা, হকিস্টিকসহ অবস্থান নেন।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, উল্লেখিত আসামিরা রাত ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে নিউমার্কেট থেকে ঢাকা কলেজের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তাদের থামাতে গেলে ইট পাটকেলের আঘাতে এডিসি (রমনা), এসি (নিউমার্কেট জোন), ওসি (নিউমার্কেট), এসআই ও ছবির উদ্দিন শিকদারসহ ১০ থেকে ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

মামলার এক নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট মকবুল নিউমার্কেট থানার বিএনপির সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিএনপির কার্যকরি সদস্য। মামলার আরেক আসামি হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারি নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও আরও কয়েকজন নিউমার্কেট থানার বিএনপির সাবেক নেতা এই মামলার আসামি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অ্যাডভোকেট মকবুলসহ অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ আসামি লাঠি, রড ও হকিস্টিক নিয়ে হামলা চালান।

মামলার প্রধান আসামি অ্যাডভোকেট মকবুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি নিউমার্কেট এলাকায় ৪ মাস ধরে যাইনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।'

নিউ মার্কেটের যে দুটি খাবারের দোকান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় তা নিজের মালিকানাধীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'নিউ মার্কেটের খাবারের দোকান ওয়েলকাম ফাস্টফুড চালান আমার ছোট ভাই এবং ক্যাপিটালের ফাস্টফুডের মালিক আমার চাচাতো ভাই শহীদুল ইসলাম। তাকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি মূলত কর্মচারীদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে। এখানে রাজনৈতিকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।'

মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও তাদের কোনো ঠিকানা বা পরিচয় নথিতে নেই।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আমীর হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারি, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, জাপানি ফারুক, মিজান ব্যাপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, ত্বোহা,মুনীর, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু, বাবুল।

এছাড়া অজ্ঞাত ২০০-৩০০ ব্যবসায়ী ও কর্মচারী এবং ঢাকা কলেজের অজ্ঞাতনামা ৬০০-৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় নিউ মার্কেট থানার এস আই মো. মেহেদি হাসান বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

এছাড়া সংঘর্ষে নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে মো. সাইদ অজ্ঞাত দেড়শ থেকে দুইশ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Trump tells Zelensky US would help with Ukraine's security in a peace deal

Trump pressures Ukraine to compromise, warns against NATO aspirations

1h ago