মনে হচ্ছিল ক্রসফায়ারের শিকার সবার জন্য ন্যায়বিচার চাইছি: সিনহার বোন

শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। ছবি: সংগৃহীত

মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার রায় শুধু তার পরিবারের বিজয় নয়, বরং এটি টেকনাফ পুলিশের 'ক্রসফায়ারে' স্বজন হারানো সব পরিবারের বিজয়।

গতকাল মঙ্গলবার সিনহার বড় বোন শারমিন শাহারিয়া ফেরদৌস দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'যতবার আমি আদালতে উপস্থিত হয়েছি, সেখানে দেখেছি অন্যান্য ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরাও সেখানে ছিলেন। আমি আমার নিজের ভাইয়ের জন্য ন্যায়বিচার চাইছিলাম, কিন্তু প্রতিবারই আমার মনে হয়েছে আমি তাদের জন্যও সংগ্রাম করছি। তারা অনেক বেশি অরক্ষিত এবং প্রান্তিক।'

'আমি তাদেরকে বুঝি এবং তারা আমাকে বোঝেন। তারাও তাদের ভাই, পিতা অথবা সন্তানকে হারিয়েছেন। আমি যদি জয়ী হই, তারাও জয়ী হবেন,' যোগ করেন তিনি।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে 'ক্রসফায়ার' হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'যদি মানুষটি দোষী হয়, তাহলে তাকে আদালতের সামনে আনুন। একজন ব্যক্তি নয়, আদালতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সে অপরাধী কি না।'

শারমিন বলেন, 'প্রদীপ ও লিয়াকতকে "ক্রসফায়ার" দেওয়া সহজ হতো, কিন্তু আমি সহজ পথে যেতে চাইনি। সততা হচ্ছে আমার শক্তি। চূড়ান্ত পর্যায়ের অশুভ শক্তির মোকাবিলায় আপনাকে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভালো মানুষ হতে হবে।'

সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস সিনহাকে হত্যার নির্দেশ দেন। সিনহাকে গুলি করে হত্যা করেন বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী।

শারমিন জানান, সব তথ্য সবার জানা থাকলেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি নিশ্চিত ছিলেন না প্রদীপকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে কি না।

তিনি বলেন, 'সিনহা একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জীবনযাপন করেছে এবং সে লক্ষ্যের জন্যই জীবন দিয়েছে। খুব সম্ভবত তার লক্ষ্য ছিল টেকনাফের মানুষদের তাদের প্রাপ্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।'

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Rohingyas fleeing Arakan Army persecution

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

7h ago