৬ হাজার টাকার জন্য সাকিবকে হত্যা করে বন্ধুরা: র‌্যাব

সাভার
ছবি: স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

বন্ধুদের কাছে ৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল সাভারে মিরপুর মফিদিয়াম স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব  আল হাসানের। পাওনা টাকা চাওয়ায় হত্যা পরিকল্পনা করে দুই বন্ধু। আজ সোমবার সাকিব হত্যা মামলার আরেক আসামি ইমন(১৮)কে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানায় র‌্যাব।

সকালে র‍্যাব-৪ (সিপিসি-২) এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খানের দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, র‍্যাব-৪ এর একটি দল সাভারের নগরকোন্ডা এলাকা থেকে গতরাত ২টার দিকে ইমনকে গ্রেপ্তার করে।

গত ২৬ মার্চ সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে সাকিবের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ইমন সাকিব হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ইমনের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, তারা তিন বন্ধু মিলে গত ১৭ মার্চ রাত ১০টা দিকে সাকিবকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

হত্যার কারণ হিসেবে ইমন র‌্যাবকে জানায়, ইমন ও পিয়াসের কাছে ৬ হাজার টাকা পাওনা ছিল সাকিবের। বেশ কিছুদিন যাবত পাওনা টাকা চেয়ে আসছিল সাকিব। কিন্তু আসামিরা টাকা ফেরত না দিয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মতো গত ১৭ মার্চ ৯টার সময় ইমন ফোন কলের মাধ্যমে সাকিবকে তার পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে সাভার মডেল থানাধীন নগরকোন্ডা এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে পিয়াস, ইমন ও নাবিনসহ অন্যরা সাকিবকে ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে তারা লাশ গুমের উদ্দেশ্যে মরদেহ নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে ঢাকনা বন্ধ করে দেয়।

র‍্যাব জানায়, গত ২০ মার্চ সাকিব নিখোঁজ জানিয়ে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ দেয় সাকিবের ভাই রাকিব মিয়া। এরপরই সাকিবকে উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি ছায়াতদন্ত শুরু করে র‌্যাব। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই ভুক্তভোগী সাকিবের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে মোবাইলটি গাবতলীতে এক ব্যক্তির কাছ থেকে জব্দ করা হয়। এর ভিত্তিতে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল সাকিবের কয়েকজন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যায় জড়িত আসামিদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

এর আগে সাকিবের মরদেহ উদ্ধারের পরপরই বন্ধু আব্দুর রহমান পিয়াসকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে সাকিব হত্যা মামলায় গতকাল গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত পিয়াসের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

মামলায় সাকিবের বন্ধু পিয়াস, ইমন ও নাবিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।  এছাড়া আরো ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Comments