আজ শাজনীনের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী

শাজনীন তাসনিম রহমানের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৫ বছর বয়সী শাজনীনকে। সেই সময় শাজনীন স্কলাসটিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
শাজনীন তাসনিম রহমান | ফাইল ছবি

শাজনীন তাসনিম রহমানের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৫ বছর বয়সী শাজনীনকে। সেই সময় শাজনীন স্কলাসটিকা স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

শাজনীন তাসনিম রহমান ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমানের মেয়ে। শাজনীনরা চার ভাই-বোন। বড় বোন সিমিন রহমান ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।

শাজনীন ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার হয় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ৬ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন।

তারা হলেন, শাজনীনের বাড়ির গৃহকর্মী শহীদুল ইসলাম (শহীদ), বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তার সহকারী বাদল, বাড়ির গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর এই মামলার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে যায়। আসামিরাও আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট শনিরামকে খালাস দেন। বাকি পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন চার আসামি হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন।

ফাঁসির আদেশ পাওয়া আরেক আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। আপিল বিভাগ চার আসামির আপিল মঞ্জুর করায় তাদের সাজা মওকুফ হয়। অপর আসামি শহীদের জেল আপিল খারিজ হয়ে যায়। এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) শহীদের করা আবেদনও আপিল বিভাগে খারিজ হয়। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে শাজনীনকে হত্যার দায়ে শহীদের ফাঁসি কার্যকর হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

46m ago