বাংলাদেশ
আর্টিকেল ১৯

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮৩ শতাংশ মামলা অনলাইনে মতপ্রকাশের কারণে

এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) ২২৫টি মামলার মধ্যে ৮৩ শতাংশই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট ও অনলাইনে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের কারণে হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) ২২৫টি মামলার মধ্যে ৮৩ শতাংশই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট ও অনলাইনে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের কারণে হয়েছে।

যেসব অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মতপ্রকাশের কারণে মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক ও লাইকি।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল ১৯ এই তথ্য দিয়েছে।

আর্টিকেল ১৯ জানায়, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ৪০ শতাংশ মামলা দায়ের করেছেন। তারাই এই আইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যবহারকারী। একই ধারায়, প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সমালোচনার অভিযোগে ৪০ শতাংশ মামলা হয়েছে। এক তৃতীয়াংশ মামলা করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।

'দ্য রোল অফ মিডিয়া ইন কাউন্টারিং থ্রেটস টু ইন্টারনেট ফ্রিডম ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে আর্টিকেল ১৯ এসব তথ্য দিয়েছে। বাংলাদেশ ইন্টারনেট ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভ ওয়ার্কিং গ্রুপ (বিআইএফডব্লিউজি) আর্টিকেল ১৯ এর সঙ্গে যৌথভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে।

তারা জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার পর অস্বাভাবিক দ্রুততায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ১৬৬ জন এভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এই সময়ে বিতর্কিত এই আইনে ৬৮ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গেল বছর এই আইনে ৭৫ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।

এ বছর অভিযুক্তদের মধ্যে ১৫ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠানো হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মোট ৩২টি মামলায় এই সাংবাদিকদের আসামি করা হয়েছে। 

আর্টিকেল ১৯ বলেছে, 'এটি নিশ্চিত যে বর্তমান প্রক্রিয়াগুলো অনলাইনে নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষা করতে এবং বাংলাদেশে ডিজিটাল বিপ্লবের কারণে তৈরি হওয়া হুমকিগুলোর সমাধান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে।'

আর্টিকেল ১৯ দক্ষিণ এশিয়ার এর আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সল, পেন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মহাসচিব ড. সৈয়দা আইরিন জামান ও অন্যান্য বক্তারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

Comments