ইউক্রেনে নিহত হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে আনতে পরিবারের আকুতি

মো. হাদিসুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ 'বাংলার সমৃদ্ধি'তে রকেট হামলায় নিহত জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের (৩৩) মরদেহ দেশে আনার আকুতি জানিয়েছে পরিবার।

হাদিসুর রহমানের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে।

তার চাচা বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার চাচাত ভাই মাদরাসা শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে হাদিসুর। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে লেখাপড়া শেষ করে ২০১৮ সাল থেকে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।'

তিনি বলেন, গতরাত ১১ টার দিকে ইউক্রেন থেকে ওই জাহাজে থাকা নাবিকরা আমাদের ফোন করে বিষয়টি জানান।

বাবা রাজ্জাক হাওলাদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যেভাবেই হোক আমার ছেলের মরদেহ যেনো দেখতে পারি। সরকার তার মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে আমরা আশাকরি।'

ওই জাহাজের এক নাবিকের বরাত দিয়ে মাকসুদুর রহমান ফোরকান বলেন, 'হাদিসুর জাহাজের বাইরে এসে মুঠোফোনে কথা বলার সময় হঠাৎ গোলার আঘাত হানে। এতে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। গোলার আঘাতে জাহাজটিতে আগুন ধরে গেলে নাবিকেরা নিজেদের চেষ্টায় তা নেভাতে সক্ষম হন। তবে এ ঘটনায় আর কেউ হতাহত হননি বলে জাহাজ থেকে ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) থেকে তাদের ফোন করে জানানো হয়েছে।'

বাংলাদেশের জাহাজ 'বাংলার সমৃদ্ধি' গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। ওই দিনই দেশটিতে রাশিয়ার হামলা শুরু হলে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে আটকা পড়েন জাহাজে থাকা ২৯ বাংলাদেশি নাবিক। ইউক্রেনে হামলা শুরুর সপ্তম দিনে বাংলাদেশি জাহাজটিতে এ ঘটনা ঘটে।

Comments

The Daily Star  | English
Rohingya children

Education at Rohingya camps in disarray

More than 400,000 Rohingya children now face uncertainty over schooling, as around 6,400 NGO-run informal schools at refugee camps in Cox’s Bazar have either suspended classes or drastically reduced class hours due to a fund crunch.

8h ago