এনবিআর সার্ভারে অনুপ্রবেশ: ধোঁয়াশা ভরা তদন্ত প্রতিবেদন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে ৯টি আমদানি চালান খালাস ও ২টি খালাসের চেষ্টার ঘটনার তদন্তে আমদানি ও শুল্কায়নের প্রতি ধাপেই অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে খালাস করা ৯টি চালানে কী পণ্য ছিল এবং এসব পণ্য কোথায় গেল, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পায়নি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস গঠিত তদন্ত কমিটি।
জালিয়াতি করে খালাস করা চালানে কী পণ্য ছিল, তা জানতে না পারায় এর থেকে রাষ্ট্র কী পরিমাণ রাজস্ব হারিয়েছে তা জানা যায়নি। অপরদিকে এসব পণ্যের গন্তব্য না জানায় মূল অপরাধীরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে।
গত বছরের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে ২ শুল্ক কর্মকর্তার লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অন্তত ৯টি চালান খালাস করা হয়। ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কোটি কোটি টাকার অন্তত ১৫৩ টন পণ্য খালাস করে ফেলে প্রতারক চক্র।
এছাড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শেষ মুহূর্তে আরও ২টি চালান আটক করতে সক্ষম হয়।
দ্য ডেইলি স্টারের গত ১৫ নভেম্বর 'আবারও এনবিআর সার্ভারে অনুপ্রবেশ, নজরদারিতে থাকা ১৫৩ টন পণ্য খালাস' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
পরে এ ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস একটি কমিটি গঠন করে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও, কমিটি ৪৮ পৃষ্ঠার জমা দিতে সময় নিয়েছে ২ মাসের বেশি।
সাইবার অপরাধীদের ব্যবহৃত আইপি অ্যাড্রেস, চালান পরীক্ষার প্রতিবেদন, পণ্য বহনকারী যানবাহনের তালিকা এবং খালি কনটেইনারগুলোর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য উল্লেখ না করেই চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।
প্রতিবেদনের একটি কপি ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে। ২ মাস ধরে তদন্তে করার পর কমিটি ১৩টি সুপারিশ দিয়েছে।
তবে এতে গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৮টি বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। পণ্যের ধরণ ও গন্তব্য অজানা থাকার পাশাপাশি জড়িতরা পার পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে তদন্তে মূল আসামি ও পণ্যের গন্তব্য শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।'
'পুলিশের তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস,' যোগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনালের ২ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান হ্যাপী ও জহির উদ্দিন সাজুকে আসামি করে ফৌজদারি মামলা করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
এ বিষয়ে প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. হাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জালিয়াতির বিষয়টি জানার পর কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দর থানায় মামলা করেছি।'
'তারা আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে জালিয়াতি করেছে,' বলেন তিনি।
তদন্ত প্রতিবেদনে জালিয়াতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫ প্রতিষ্ঠান তাদের দায় এড়াতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়নি প্রতিবেদনে।
গত নভেম্বরে ২ কাস্টমস কর্মকর্তার ইউজার আইডি ব্যবহার করে এনবিআরের সার্ভারে প্রবেশ এবং ভুয়া নথি জমা দিয়ে পণ্য খালাসের ১১টি চালানে জালিয়াতি শনাক্ত করা হয়। এসব চালানে ৯ জন আমদানিকারকের পক্ষে পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল।
তবে এ ঘটনায় কোনো কাস্টমস কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পায়নি তদন্ত কমিটি। এসব পণ্য আমদানি ও খালাসের প্রতি ধাপেই অনিয়ম ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য জমা দিলেও, তা খালাসের অনুমতি দিয়েছিলেন কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তারা।
অপরদিকে এসব চালান নিজেদের নয় বলে তদন্ত কমিটির কাছে দাবি করেছে ৯ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
এদিকে, এসব চালানের সংশ্লিষ্ট নথি কাস্টমস থেকে গায়েব হওয়ায় আমদানিকারকদের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করেনি তদন্ত কমিটি।
শিপিং এজেন্ট ও বন্দরের দেওয়া তথ্য ও নথির ভিত্তিতেই এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমসের ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
এনবিআরের সার্ভারে এটি ছিল সাইবার অপরাধীদের দ্বিতীয় আক্রমণ। এর আগে একইভাবে কাস্টমসের সাবেক ২ কর্মকর্তার সচল থাকা আইডি ব্যবহার করে প্রায় ৪ হাজার চালান খালাস করেছিল আরেকটি চক্র। ওই ঘটনার তদন্তেও কাস্টমসের কোনো কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পায়নি তদন্ত কমিটি।
এবারের তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, খালাস নেওয়া এসব চালানের নথিতে যে কর্মকর্তাদের সই ও সিল ছিল, তা জাল বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তবে বিষয়টির সত্যতা যাচাই না করেই ওই কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
একইভাবে এসব পণ্য বন্দর থেকে যেসব ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানে করে চলে গেছে তার তথ্যও সংগ্রহ করেনি তদন্ত কমিটি। যদিও সে সব পরিবহন প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য বন্দরের গেট কর্মকর্তাদের কাছে থাকার কথা।
যে ২ কর্মকর্তার ইউজার আইডি ব্যবহার করা হয়েছিল, আগে তাদের আইডি দিয়ে আর কোনো অনিয়ম হয়েছিল কি না, সে বিষয়েও তদন্ত কমিটি কোন তথ্য উল্লেখ করেনি।
অনুপ্রবেশের ঘটনায় যে দুই কর্মকর্তার আইডি ব্যবহার করা হয়েছিল, তাদের একজন আগেই চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে বদলি হয়েছিলেন এবং অপরজন ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত ছিলেন।
বদলি কর্মকর্তার আইডি সচল থাকার বিষয়ে কাস্টমসের আইটি শাখা ও প্রশাসন শাখার কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।
এনবিআরের নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা বদলি হলে কর্মস্থল থেকে ছাড়পত্র পেতে ও বদলিকৃত স্টেশনে যোগদান করার সময় তার নামে বরাদ্দ আইডি ডিঅ্যাকটিভেট হওয়ার সনদ দেওয়া বাধ্যতামূলক।
এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম কাস্টমসের আইটি ও প্রশাসন শাখার কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেওয়া হলেও, আইটি সচল থাকার কারণ স্পষ্ট করেননি কেউ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সাবেক কমিশনার মারুফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আইটি বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে বদলি হওয়া কর্মকর্তার আইডি সচল থাকতে পারে।'
তিনি বলেন, 'আমি ৮ বছর আগে অবসরে যাই। অবসরের সঙ্গে সঙ্গে আমার আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে গিয়েছিল।'
আমদানি ও খালাসের প্রতি ধাপেই অনিয়ম
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের ৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে ওই ১১টি চালান আমদানি ও খালাসের প্রতিটি ধাপেই অনিয়ম হয়েছে। এসব চালান খালাসে প্রতি ধাপেই ভুয়া তথ্য দাখিল করলেও, তা ধরতে পারেননি কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তারা।
শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে এসব চালানে যে আইপিও ব্যবহার করা হয়েছে তা ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করেছিল বেপজা। রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের সুবিধার জন্য দেওয়া এ আইপি ব্যবহারের কারণে আমদানি পণ্যের ওপর ৮৯ শতাংশ শুল্ককর ছাড় পেয়ে যান আমদানিকারকরা।
বেপজার ওয়েবসাইটে এসব আইপি যাচাইয়ের সুযোগ থাকলেও, কাস্টমস কর্মকর্তারা সেগুলোর সত্যতা যাচাই করেননি।
আমদানির প্রাথমিক পর্যায়ে জমা দেওয়া গেটপাস বা আইজিএমের তথ্যের সঙ্গে কাস্টমসে দাখিলকৃত বিল অফ এন্ট্রির তথ্যের কোনো মিল নেই।
পণ্য খালাসের গুরুত্বপূর্ণ এ ২ ধাপে আমদানিকারক ও পণ্যের নামে অমিল থাকা সত্ত্বেও তা খালাস দেওয়া হয়েছে। পণ্যবাহী জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্টের তথ্যও ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
একইভাবে চালান সংশ্লিষ্ট নয় এমন শিপিং এজেন্টদের নাম, সই ও সিল জাল করে দাখিল করা ডিও অর্ডারের ভিত্তিতে এসব পণ্য বন্দর থেকে ছাড় দিয়েছেন বন্দরের কর্মকর্তারা।
এসব চালান আমদানি ও খালাসের যে কোনো ধাপে নথি যাচাই করলেই এসব অসঙ্গতি ধরা পড়ত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
যে সব বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে তদন্তে
চালান খালাসের নথিতে ৪ কর্মকর্তার সই জাল করা হয়েছে বলে কাস্টমস জানালেও, সই জালিয়াতির বিষয়টি কোনো বিশেষজ্ঞকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হয়নি। নিশ্চিত না হয়েই ওই কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
সময় স্বল্পতার কারণে সই যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে ২ মাস তদন্তের পর জমা দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জালিয়াতি করে খালাস হওয়া পণ্য বন্দর থেকে যে সব ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যানে করে গন্তব্যে গেছে তার তথ্য বন্দরের গেট কর্মকর্তাদের কাছে থাকলেও, তদন্ত কমিটি তা সংগ্রহ করেনি।
বন্দরের সংশ্লিষ্ট গেট থেকে দ্য ডেইলি স্টার এসব নথি সংগ্রহ করেছে। নথিতে পণ্যবাহী কনটেইনার নম্বর ও পণ্য গন্তব্যে নিতে ব্যবহৃত পরিবহনের টেইলর নম্বর দেওয়া ছিল।
এর মাধ্যমে পণ্যের গন্তব্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার সুযোগ ছিল এবং তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হতো। তবে কাস্টমস এসব আমলে নেয়নি।
এছাড়া গন্তব্যে পৌঁছানোর পর খালি কনটেইনারগুলো ১৫ দিনের মধ্যে কেডিএস ও পোর্টলিংক ডিপোতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু এসব কনটেইনার জমা দেওয়ার কোনো তথ্য ডিপোতে পাওয়া যায়নি। কাস্টমসের আইন অনুযায়ী এসব কনটেইনার ফেরত না দিলে প্রতিটি কনটেইনার থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা শুল্ক আদায় করার কথা। কিন্তু এ বিষয়ে কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনে পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার তফসির উদ্দিন ভূঁইয়া অবশ্য স্বীকার করেছেন যে তদন্ত প্রতিবেদনে এ সব বিষয় আনা প্রয়োজন ছিল।
তবে মূল অপরাধীদের ধরা যাবে বলে তিনি মনে করেন।
তাফসির বলেন, 'সময়ের অভাবে এবং অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা এই বিষয়গুলো দেখতে পারিনি।'
এ ঘটনার বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের আলাপ হয়।
তিনি বলেন, 'কাস্টমসের দুর্বল তদন্তের কারণে মূল অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। বিষয়টি হতাশাজনক।'
এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে তিনি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শুল্ক কর্মকর্তা এবং আমদানিকারক-এই ৩ পক্ষকেই বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
৯ আমদানিকারকের বিষয়ে তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ
তদন্ত প্রতিবেদনে ৫ আমদানিকারক এমজিএল কোম্পানি বিডি লিমিটেড, হেলিকন লিমিটেড, গোল্ডসাইন ইন্ডাস্ট্রিজ, টিগারকো লিমিটেড এবং ব্রাদার্স প্লাস্টিক ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের এ জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য আসেনি।
খালাস ও শুল্কায়ন নথিতে এসব পণ্য তাদের নামে খালাস হলেও, শিপিং এজেন্টের দাখিল করা আইজিএম ও বিল অফ লোডিং (রপ্তানিকারক বন্দরের তথ্য) নথিতে ইলেক্ট্রো প্যাক, হাসান অ্যান্ড ব্রাদার্স, এআরএইচ নিট কম্পোজিট লিমিটেড, মদিনা করপোরেশন ও মা স্টিথ প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়।
তদন্ত কমিটির শুনানিতে ইলেক্ট্রো প্যাক অংশগ্রহণ করলেও অপর ৪ প্রতিষ্ঠান তদন্ত কমিটির শুনানিতে সাড়া দেয়নি।
আমদানি নথি ও আইজিএম নথিতে ওই ৪ আমদানিকারক গ্রামীন নিটওয়্যার, শান্তা ডেনিম লিমিটেড, কং কেং টেক্সটাইল এবং একটর স্পোর্টিং লিমিটেডের নাম থাকায় এ জালিয়াতি থেকে তারা দায় এড়াতে পারে না বলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আমদানির প্রাথমিক ধাপে যে ৫ আমদানিকারকের নাম ছিল, তারা জালিয়াতির দায় এড়াতে পারে না বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তির সুপারিশ করা হয়নি।
এসব প্রতিষ্ঠানের আমদানি কার্যক্রমে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি এ জালিয়াতির ঘটনায় এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া যেতে পারে বলে তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছে।
Comments