এমপি’র বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য মুহিব্বুর রহমান মুহিবের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অমান্য করে বিরোধী জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ তুলেছেন ধূলাসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের পুত্র ও কন্যা।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ধূলাসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম কে এম খালেকুজ্জামানের পুত্র মেহেদী হাসান ও কন্যা জিনিয়া জেসমিন নিপা।
সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান বলেন, 'আমার বাবা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কে এম খালেকুজ্জামান ওরফে জামান খলিফা ২০২০ সালের ১১ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। জীবদ্দশায় তিনি ২০০৩ সালের ১০ নভেম্বর আদম আলীর কাছ থেকে ৪০৪৮ নং সাব কবলা দলিল মূলে ধুলাশার মৌজায় ২.৩৭ একর জমি ক্রয় করে ৩৬৬ নং খতিয়ান সৃষ্টি করেন।'

তিনি আরও বলেন, 'পরবর্তীতে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিব্বুর রহমান মুহিব একই জমির আরও একটি সাব কবলা দলিল দেখিয়ে ৩৫৭ নং খতিয়ান তৈরি করেন। ২০০৪ সালের ২৫ জুলাই মুহিব্বুরের খতিয়ান ভুয়া দাবি করে বাতিলের জন্য জামান খলিফা পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) দপ্তরে একটি মামলা করেন। পরে মুহিব্বুর রহমানের খতিয়ানটি বাতিল হয়।'
মেহেদী হাসান বলেন, 'এ বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে মুহিব্বুর রহমান কলাপাড়া সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেন। তবে, আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। পরে মুহিব্বুর রহমান জেলা জজ আদালতে মামলা করলে সেখানেও তার মামলা খারিজ হয়। এরপর ২০০৫ সালের ৯ অক্টোবর হাইকোর্টে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করেন তিনি। আদালত তার মামলাটি গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের আদেশ স্থগিত করেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সিভিল আপিল দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিরোধী জমিতে উভয়পক্ষকে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।'
'কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে সংসদ সদস্য ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মান অব্যাহত রেখেছেন,' অভিযোগ করেন মেহেদী।
তবে, মেহেদী হাসানের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংসদ সদস্য মুহিব্বুর রহমান।
দ্য ডেইলি স্টারকে মুঠোফোনে মুহিব্বুর রহমান মুহিব বলেন, 'উচ্চ আদালতের দেওয়া স্থিতাবস্থার জমিতে আমি নির্মাণ কাজ করছি না। আমি সামসুন্নাহার নামের এক নারীর কাছ থেকে জমি কিনেছিলাম। সেই জমিতেই স্থাপনা নির্মাণ করছি।'
Comments