এয়ারটেলের বিলবোর্ডে ঢাকা পড়ল কলেজের নামফলক

এয়ারটেল কোম্পানির বিজ্ঞাপন দিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের মূল গেটের নামফলক ঢেকে দেওয়ার ঘটনায় নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
এ ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় জনগণ এবং ওই কলেজের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করে বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সমালোচনা করছেন। একইসঙ্গে তারা মূল গেট থেকে বিজ্ঞাপনী নামফলকটি সরিয়ে ফেলারও দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এর আগে কলেজের মূল ফটকে স্টিলের ডিজাইন করা নামফলক ছিল। সেখানে 'সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ' লেখা ছিল। কিন্তু সম্প্রতিকালে সেটি টেলিকম কোম্পানি এয়ারটেলের লোগো সংবলিত নামফলক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় মানুষ নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন।
সাতক্ষীরা স্টুডেন্ট সোসাইটির সভাপতি শেখ শাকিল হোসেন ফেসবুকে-এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, 'সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রধান ফটকে কলেজের মূল নামফলক ঢেকে এরকম বিজ্ঞাপনী নামফলক দেখতে চাই না। অতিদ্রুত এটা নামিয়ে ফেলুন।'
তিনি আরও লিখেছেন, 'সৌন্দর্যবর্ধন (তথাকথিত) থেকে জেলার সেরা কলেজের প্রধান ফটকও ছাড় পেল না। এই বর্ণিল সাইনবোর্ড তো একদিন বর্ণহীন হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের রুচির দৈন্য ঘুচবে কবে?'
রফিকুল ইসলাম রফিক নামে একজন লিখেছেন, 'সাতক্ষীরার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সরকারি কলেজ। অথচ মূল গেটে এয়ারটেলের প্রচার চালাচ্ছে। হাইরে আফসোস!'
শাহীন আলম নামের এক ছাত্র লিখেছেন, 'বিষয়টি সবার মতো আমারও দৃষ্টিকটু লাগছে। দ্রুত অপসারণের জন্য অধ্যক্ষ স্যারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।'
মানবাধিকারকর্মী মাধবচন্দ্র দত্ত লিখেছেন, 'শুধু প্রতিবাদ নয়, এই ধৃষ্টতা কাদের সিদ্ধান্তে জানতে চাই?'
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমানুল্লাহ আল হাদি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কলেজ অধ্যক্ষ এস এ আফজাল হোসেন গত ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যান। তার আগে ১১ ডিসেম্বর তিনি এয়াটেল কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে ফটক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তৈরির পর যেহেতু এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, এজন্য মঙ্গলবার একাডেমি কাউন্সিলের সভা ডাকা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments