কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ঈদের দিন সকাল থেকে ভিড় বাড়ছে সৈকতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে ছুটি কাটাতে আসছেন।
সমুদ্রের জলে গা ভিজিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে পর্যটকরা এখানে অবকাশ যাপন করছেন। কেউ আবার সৈকতের বেঞ্চে বসেই সমুদ্র ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। অনেকেই সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে নেচে গেয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছেন।
কুয়াকাটার কুয়া, সৈকতের লেম্বুরবন, নদীর মোহনা, গঙ্গামতির লেক, লাল কাঁকড়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার, শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলোতে ঘুরছেন পর্যটকরা। আবার কেউ কেউ মোটরসাইকেল নিয়ে সৈকতের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
ঈদের দিন কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টগুলোর ৮০ ভাগ কক্ষই বুকিং ছিল। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে পরবর্তী ৫-৬ দিন কোনো কক্ষ খালি নেই বলে জানিয়েছে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ।
রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, মিশ্রিপাড়া তাতঁপল্লী সবখানেই কেনাকাটায় পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। আবার অনেকেই সৈকতে ভাজা মাছের দোকানগুলোতে কাঁকড়া, চিংড়িসহ নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই ও বার-বি-কিউ উপভোগ করছেন।
খুলনা থেকে আসা গোলাম রাব্বি জানান, টানা ৯ দিন ছুটি পেয়ে সমুদ্রের পাড়ে অবকাশ যাপনে এসেছি। ভালোই লাগছে।
পিরোজপুর থেকে আসা আমান উল্লাহ বলেন, লম্বা ছুটি পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে।
আবাসিক হোটেল সৈকতের মালিক মো. জিয়াউর রহমান জানান, ঈদের দিন তার হোটেলের ৮০ ভাগ রুম বুকিং ছিল। তবে ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন স্থানীয় পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকবে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এ মোতালেব শরীফ জানান, এবারের ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটেছে। ইতোমধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোর প্রায় ৭০ ভাগ রুম আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, পর্যটকদের জন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকেও নজরদারি করা হচ্ছে। পর্যটন পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ ও র্যাব মহাসড়কে পর্যটকদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
Comments