গরুর র্যাম্প শো!

র্যাম্প শো মানেই আলোর ঝলকানি, সাজ-পোশাক, সুরের তালে তালে ক্যামেরার সামনে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাকে মডেলদের বিভিন্ন ভঙ্গিতে হাঁটাচলা। কিন্তু চট্টগ্রামে ব্যতিক্রমী র্যাম্প শো আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে হেঁটেছে সুসজ্জিত গরু।
আজ শুক্রবার চট্টগ্রাম মহানগরীর আউটার স্টেডিয়ামে ক্যাটেল এক্সপোর আয়োজন করা হয়। 'চট্টগ্রাম ক্যাটেল এক্সপো ২০২২' গরুর এ প্রদর্শনী সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে।
চট্টগ্রাম ক্যাটেল ফার্মস কমিউনিটির এই আয়োজনে ৩২টি খামারের ১০০টি গরু প্রদর্শিত হয়।
সরেজমিনে এক্সপোতে গিয়ে মাঠ জুড়ে জার্সি, শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান, মিরকাদিমসহ নানা জাতের গরু দেখা গেছে। গরুগুলো বিক্রির জন্য নয়, বরং প্রদর্শনের জন্যই আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজক ও খামার মালিকরা।

থাইল্যান্ড থেকে আনা হোয়াইট টাইগার নামে গরুকে ঘিরে দর্শকদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। সারা অ্যাগ্রো গরুটি নিয়ে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের সংগ্রহে ৩০০টির বেশি ব্রাহামা জাতের গরু আছে। থাইল্যান্ডের ব্রাহামার পাশাপাশি শাহীওয়ালও নিয়ে এসেছে এক্সপোতে।
সারা অ্যাগ্রোর মালিক আলিফ ইকবাল চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'থাইল্যান্ড, ভারত, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত প্রজাতির গরু এনে আমরা লালন পালন করি।

এক্সপোতে আসা চট্টগ্রামের মুরাদপুরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী রোকন উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গরুর খামার করার ইচ্ছে আছে। এখানে বিভিন্ন জাতের গরুর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ আছে। তাই এক্সপোতে এসেছি।'
২০ বছর ধরে গরুর খামার করছেন আরবিএস অ্যাগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল হক চৌধুরী। এক্সপোতে তিনি গুজরাটি জাতের একটি ষাঁড় এনেছেন।
তিনি বলেন, 'শুধু বড় গরু পালন করতে হবে এমন নয়। ছোট ছোট গরু দিয়েও শুরু করা যাবে। বন্দরনগরীতে অনেক খামার আছে। এই এক্সপোর মাধ্যমে একটি ফার্মের সঙ্গে আরেকটি ফার্মের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা সম্ভব হয়েছে।'
এক্সপোর প্রধান সমন্বয়ক বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক্সপোতে কোনো পশু বিক্রি হচ্ছে না। প্রাকৃতিক উপায়ে পশু লালন পালনের অভিজ্ঞতা ও তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হচ্ছে।'
'তরুণ প্রজন্মকে গরু সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি পশুকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কীভাবে মোটাতাজা করা যায়, এক্সপোতে সে সব জানানো হচ্ছে,' যোগ করেন তিনি।
Comments