গুলশান-বনানী-বারিধারায় ড্রেনে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা

আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় ড্রেনের সঙ্গে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় ড্রেনের সঙ্গে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

আজ বুধবার দুপুরে নুরের চালা এলাকায় ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে  মেয়র এ কথা জানান।

এ সময় মেয়র বলেন, 'প্রতিটি ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে। পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ স্টর্ম সুয়ারেজে দেওয়া যাবে না। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় ড্রেনের সঙ্গে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকায়ও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, 'ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক ছাড়া শুধু রাস্তা করলে হবে না। স্থায়ী সমাধানের জন্য রাস্তা নির্মাণের আগে ড্রেন নির্মাণ করতে হবে। নুরের চালার সুতিভোলা খালের পাড় থেকে নুরের চালা বাজার মসজিদ পর্যন্ত ড্রেনের কাজ শেষ হলেই রাস্তার কাজ করা হবে।'

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র আতিক বলেন, 'এই শহর শুধু মেয়রের নয়, এ শহর শুধু কাউন্সিলরের নয়, এই শহর সবার শহর। সিএস পর্চা অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করে আমরা খালগুলোকে উদ্ধার করব। মহানগর জরিপ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করলে ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না, জলাবদ্ধতায় ঢাকা ডুবে যাবে।'

'বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খালের সীমানা নির্ধারণের কাজ এগিয়ে চলেছে। খালগুলো উদ্ধারের পর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলব,' যোগ করেন তিনি।

সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন,  'আমরা জলাবদ্ধতা এবং যানজটের সমস্যার সমাধানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই রাস্তার কার্যক্রম করছি। শহরের রাস্তাগুলো ২০ ফিট প্রশস্ততার কম হলে সেখানে সিটি কর্পোরেশন কোন ধরনের অর্থায়ন করবে না, কোন ধরনের রাস্তা নির্মাণ করবে না।'

এসম মেয়র আরো বলেন 'এবার ঈদে ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। কোরবানি বর্জ্য ১২ ঘণ্টায় পরিষ্কারের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ১০ হাজার কর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে।'

ডিএনসিসির কয়েকটি অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোরবানির স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Comments