ঘাটে উপচে পড়া ভিড়, লঞ্চের ছাদেও যাত্রী
বরিশালের দক্ষিণের জেলা ভোলা থেকে বিপুল সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে কয়েকটি লঞ্চ। এসব লঞ্চের ছাদে অসংখ্য যাত্রী দেখা গেছে। এছাড়া, ভোলা খেয়াঘাটে ও ইলিশাঘাটে অন্তত কয়েক হাজার যাত্রী লঞ্চের অপেক্ষায় আছে।
আজ সকাল থেকে ভোলার ইলিশা থেকে অন্তত চারটি লঞ্চ লক্ষ্মীপুর সীমান্তে ভোলার মজু চৌধুরীর ঘাটে পৌঁছেছে। সেখান থেকে যাত্রীরা লক্ষ্মীপুর হয়ে সড়কপথে চট্টগ্রাম ও ঢাকার দিকে যাত্রা করবেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল এগারটায় পারিজাত লঞ্চটি বরিশাল থেকে ভোলার ইলিশা ঘাটে পৌঁছে। সেখান থেকে কমপক্ষে দুই হাজার যাত্রী নিয়ে দোতালা লঞ্চটি আবার যাত্রা শুরু করে।
পারিজাতের যাত্রী কবির হোসেন জানান, তিনি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদ করতে বাড়িতে এসেছিলেন। তাকে কালকের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে হবে।
ইলিশা ঘাটে অপেক্ষমাণ রহিমা বেগম জানান, তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। কিন্তু লকডাউনে তাদের বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি। ফলে, তাকে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে।
অনেক যাত্রী জানান, দীর্ঘ লকডাউনের কারণে তারা যেতে বাধ্য হচ্ছেন- কেননা পরে অফিস খুললেও যেতে পারবেন না।
ভোলা নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মো কামরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অন্তত পঞ্চাশ হাজার মানুষ নদীবন্দর ব্যবহার করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাবেন। কিন্তু, ভোলা নদীবন্দর থেকে পাঁচটি ও ইলিশা ঘাট থেকে মাত্র চারটি লঞ্চ যাবে। ফলে, যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। লকডাউনের কারণে অনেকেই তড়িঘড়ি করে রওনা দিয়েছেন।’
ভোলা নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল জানান, অতিরিক্ত যাত্রী না হওয়ার জন্য তারা প্রচার করেছে। কিন্তু, যাত্রীরা তা শুনছে না। এই লঞ্চগুলো মজু চৌধুরী ঘাটে থামবে। সেখান থেকে যাত্রীরা বাসে করে ঢাকা বা চট্টগ্রামে যাবেন।
Comments