চাঁদপুর থেকে লঞ্চে ঢাকায় ফিরছেন হাজারো মানুষ

চাঁদপুর লঞ্চঘাট। ১ আগস্ট ২০২১। ছবি: আলম পলাশ/ স্টার

শ্রমিকদের সুবিধার্থে সীমিত সময়ের জন্যে গণপরিবহন চলাচল শুরু হলে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঢাকাগামী মানুষের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়।

আজ রোববার বেলা ১২টায় এ দৃশ্য দেখা গেছে।

চাঁদপুর বিআইডাব্লিউটিএ'র উপ-পরিচারক কায়সারুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বেলা ১২টা পর্যন্ত ১১টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। যাত্রী থাকলে আরও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা ভোর থেকে ঘাটে অবস্থান করছি যাতে কোনো লঞ্চে অধিক যাত্রী না উঠতে পারে। তাছাড়া, প্রতিটি লঞ্চে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা।'

চাঁদপুরসহ আশে-পাশের জেলার হাজার হাজার যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় প্রতিটি লঞ্চকেই নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে ঘাট ছাড়তে বাধ্য করছে।

সেসময় তাদের সহায়তা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিক্তা খাতুনের নেতৃত্বে জেলা ও নৌ-পুলিশ সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ ভোর ৬টা থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে পোশাক শ্রমিকদের চেয়ে সাধারণ যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। এ জন্য লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করেন। এরপরও যাত্রীর চাপে ভোর ৬টার রফরফ-৭ ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে চাঁদপুর ঘাট ত্যাগ করে।

সকাল ৭টা ২০ মিনিটের সোনারতরী সকাল সাড়ে ৬টায়, সকাল ৮টার ইগল-৭ সকাল ৭টায়, সকাল ৯টার ইগল সকাল সোয়া ৭টায় চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বেলা ১২টায় ছেড়ে গেছে ইমাম হোসেন-৭ লঞ্চটি।

ইগল লঞ্চের সুপারভাইজার আলী আজগর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে সরকার সীমিত সময়ের জন্য লঞ্চ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা তিনটি লঞ্চ ঢাকা থেকে খালি নিয়ে আসি।'

'কিন্তু, প্রশাসনের চাপে লঞ্চগুলো চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট যাত্রী তোলার আগেই ঘাট ছেড়ে দিতে বাধ্য করেছে। এতে আমাদের বাড়তি লোকসান গুণতে হচ্ছে।'

নৌ-পুলিশের ওসি মোজাহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা নির্দিষ্ট যাত্রী ওঠার পর লঞ্চগুলোকে সময়ের আগেই ঘাট ছাড়তে বলছি।'

এ দিকে, ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে চাঁদপুর বাস টার্মিনালে। সেখানে একের পর এক বাস সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেও ঢাকাগামী যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম।

Comments