চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন আম ‘পালমার’

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুক্ত হচ্ছে আমের আরেকটি নতুন জাত ‘আমেরিকার পালমার’। রঙ ও মিষ্টতার কারণ বাড়ছে রপ্তানির সম্ভাবনা। আমের এই জাতটি আমেরিকার ফ্লোরিডার। তাই নাম আমেরিকান পালমার।
ছবি: রবিউল হাসান/স্টার

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুক্ত হচ্ছে আমের আরেকটি নতুন জাত ‘আমেরিকার পালমার’। রঙ ও মিষ্টতার কারণ বাড়ছে রপ্তানির সম্ভাবনা। আমের এই জাতটি আমেরিকার ফ্লোরিডার। তাই নাম আমেরিকান পালমার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে ১০ বছর বয়সী চারটি গাছে এবার ভালো ফলন হয়েছে। রঙিন ও বিদেশি জাত হওয়ায় এটির রপ্তানি সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মোজদার হোসেন জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের এক বিজ্ঞানী বিদেশ থেকে ৪টি চারা এনে তাদের বাগানে লাগান। এ বছর এই চারটি গাছে ঝুলছে রঙিন আম। মুকুল হয় ফেব্রুয়ারিতে এবং পাকে মধ্য জুলাই থেকে আগস্টে। এ সময় সাধারণত অন্য আম বাজারে থাকে না। তাই আমাদের দেশে এর চাহিদা তৈরি হবে।

রঙিন ও বিদেশি জাত হওয়ায় এটির রপ্তানি সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন কৃষিবিদরা। ছবি: রবিউল হাসান/স্টার

তিনি আরও জানান, হর্টিকালচার সেন্টার এবার এক হাজার চারা উৎপাদন করবে এবং কৃষকের মাঝে বিক্রি করবে। দাম এখনো নির্ধারিত হয়নি, তবে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করার কথা ভাবছেন হর্টিকালচারের কৃষিবিদরা।

এই কৃষি কর্মকর্তা জানান, আমেরিকা ছাড়াও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালমার আমের চাষ হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই আম অত্যন্ত জনপ্রিয়। লাল রঙের এই আম দেখতেও আকর্ষণীয়। এই জেলাসহ বাংলাদেশের আবহাওয়া এ জাতের আম চাষে উপযোগী হওয়ায় এর বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও আছে।

তিনি বলেন, ‘পালমার আমের ভক্ষণযোগ্য অংশ আশিভাগের বেশি। এর ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। আর মিষ্টতার পরিমাণ ১৫ শতাংশ, এর আঁশ নেই। বিদেশে কম মিষ্টতার আম জনপ্রিয় হওয়ায় এ জাতের রপ্তানি সম্ভাবনা বেশি।’

হর্টিকালচার সেন্টার এবার এক হাজার চারা উৎপাদন করবে এবং কৃষকের মাঝে বিক্রি করবে। ছবি: রবিউল হাসান/স্টার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘তুলনামূলক অন্য আমের চেয়ে এই আমের রোগ-বালাই কম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আবহাওয়া বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চল এই আম চাষের জন্য উপযোগী।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৪ হাজার সাতশ ৩৮ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। জেলায় আম উৎপাদন হয় ২.৫ লাখ টন।

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

5h ago