চালকের আসনে কিশোর, পেছনের সিটে ঘুমাচ্ছিলেন চালক

রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় আজ বুধবার দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা একটি মাইক্রোবাস থামানোর পর দেখা যায় সেটি চালাচ্ছিলেন একজন কিশোর এবং ‍চালক পিছনের সিটে ঘুমাচ্ছিলেন। ওই কিশোরের নাম ইমন এবং তার বয়স ১৯ বছরের বেশি নয়। শিক্ষার্থীরা তার কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজ দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি।

ইমন শিক্ষার্থীদের জানান, বাসটির মূল চালকের মাথাব্যথা করছে এবং তিনি ঘুমাচ্ছেন। এজন্য তাকে মাইক্রোবাসটি চালাতে হচ্ছে।

ইমন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি প্রায় চার বছর ধরে এই গাড়িটি চালাচ্ছি... আজ পর্যন্ত আমার কোনো সমস্যা বা কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমি লাইসেন্স পাইনি কারণ আমার বয়স কম ছিল।'

প্রসঙ্গত, পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ২১।

ইমন তার বয়স ১৯ বছর দাবি করলেও বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের অনুমান তার বয়স আরও কম। শিক্ষার্থীরা বলেছে, এসব কম বয়সী চালকের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘঠছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘুষের বিনিময়ে তাদের বাধা দেয় না।

এ নিয়ে কিশোর চালকের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের তর্ক হচ্ছিল। তখন মাইক্রোবাসের মূল চালক সুমন হোসেন (২৫) ঘুম থেকে উঠে শিক্ষার্থীদের কাছে যান।

সুমন শিক্ষার্থীদের কাছে গাড়িটি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে বলেন, 'আমার মাথাব্যথা করছিল। তাই ঘুমিয়ে পড়ি এবং ইমনকে গাড়ি চালাতে বলি।'

তখন ওমানফেরত মাইক্রোবাসের যাত্রী এক শিক্ষার্থীকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। যা বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

এক শিক্ষার্থী চিৎকার করে বলেন, 'আপনি টাকা দিয়ে সবাইকে হাত করতে পারেন, কিন্তু আমাদের নয়। আমরা ছাত্র, আমরা টাকা চাই না, আমরা নিরাপদ সড়ক চাই।'

শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ওই যাত্রী ক্ষমা চান।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুমন দাবি করেন, ইমন ভালোভাবেই গাড়ি চালাতে পারে... এই কারণে তাকে তাকে গাড়ি চালাতে বলেছিলাম।

অবশ্য তিনি পরে মেনে নেন যে, এটি তার ভুল ছিল।

শিক্ষার্থীরা প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে রামপুরা সেতুতে মাইক্রোবাসটি আটকে রেখেছিল। পরে, পুলিশ মামলা দায়ের করার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Explosions rock Indian Kashmir

Sirens ring out in Jammu, projectiles in night sky; Islamabad says Indian drones earlier entered its airspace

7h ago