জামিনে মুক্তি পেলেন শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রোববার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
হৃদয় মণ্ডল বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। ছবি: স্টার

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ রোববার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।

এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোতাহারাত আক্তার ভুঁইয়া তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছানোর পরই তিনি মুক্তি পান।

জেলার আবুল বাশার জানান, জামিন নামা আদালত থেকে কারাগারে আসে। কাগজ পাওয়ার পর বাকি কাজগুলো করা হয়। এরপর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কারাফটকে দেখা যায়, হৃদয় মণ্ডল বেরিয়ে এসেই তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি গাড়িতে উঠেন।

গত ২০ মার্চ স্কুলে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। সেখানে বিজ্ঞান ও ধর্ম নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার কথোপকথন হয়। ক্লাস শেষে কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। যেখানে ধর্ম অবমাননা ও মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা:) অপমান করার অভিযোগ আনা হয়। তার ২ দিন পর শিক্ষার্থীরা স্কুলে আন্দোলন করলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ আসে।

২২ মার্চ রাতে হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করেন একই স্কুলের অফিস সহকারী (ইলেক্ট্রিশিয়ান) মো. আসাদ মিয়াঁ। মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় দণ্ডবিধির ২৯৫ ও ২৯৫ (এ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই রাতেই হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত ২৩ মার্চ ও ২৮ মার্চ হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের জামিন চাইলে আদালত নামঞ্জুর করেন। এরপর জেলা ও দায়রা জজ আদালত একটি ফৌজদারি মিস কেস করলে আজ ১০ এপ্রিল জামিন শুনানির দিন ধার্য করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

History of student protests in the USA

American campuses -- home to some of the best and most prestigious universities in the world where numerous world leaders in politics and academia have spent their early years -- have a potent history of student movements that lead to drastic change

2h ago