টাইম ম্যাগাজিনে স্থপতি রফিক আজম

বাংলাদেশের প্রখ্যাত স্থপতি রফিক আজমকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন টাইম।
স্থপতি রফিক আজম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বাংলাদেশের প্রখ্যাত স্থপতি রফিক আজমকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন টাইম।

গত ২৮ অক্টোবর নিউইয়র্কভিত্তিক এই ম্যাগাজিন রফিক আজম ও তার জলবায়ু সহনশীলতার (ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স) সমাধান বিষয়ক একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে।

এতে বলা হয়, বর্ষা মৌসুমে অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকা ঢাকা শহরের নিষ্কাশন নালাগুলো উপচে পথঘাট ভাসিয়ে দেয়। বেশিরভাগ নগর পরিকল্পনাবিদ ঢাকাকে জলবায়ু সহনশীল করে তোলার সম্ভাবনার ব্যাপারে হতাশ হলেও রফিক আজম হননি।

টাইমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রফিক আজমকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়, চ্যালেঞ্জ যদি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সেটা দুঃখজনক। কিন্তু যদি আপনি একটি চ্যালেঞ্জকে উদ্ভাবনের সুযোগ হিসেবে ধরেন, তাহলে তা উদযাপনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।'

আজম ঢাকার অবহেলিত পার্কগুলোকে নতুন নকশায় সাজিয়ে সেগুলোকে ছোট ছোট সবুজ মরুদ্যানে পরিণত করতে শুরু করেছেন। যে পার্কগুলোর পানি ধারণ ক্ষমতা এখন দ্বিগুণ। এর চারপাশে খনন করা গভীর পরিখাগুলোতে বৃষ্টির পানি জমা হয়। যা পরে ফিল্টার করে ট্যাপের মাধ্যমে খাবার পানি হিসেবে কমিউনিটির মানুষের কাছে পাঠানো হয়। এই পরিখাগুলো শহরের রাস্তা থেকে খাওয়ার অযোগ্য পানি ধারণ করে নেয়। ফলে সড়কে পানি জমে থাকে না।

টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত রফিক আজম ও তার দল এভাবে ঢাকার ৩১টি পার্ক ও খেলার মাঠ বদলে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে রফিক আজম বলেন, 'এসব এলাকায় বৃষ্টি আর কোনো বিড়ম্বনার কারণ নয়। বরং তা উদযাপনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।'

টাইম বলছে, জলোচ্ছ্বাস বিশ্বব্যাপী নিচু শহরগুলোর জন্য হুমকি। ঢাকার অভিজ্ঞতা যদি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জের একটি সতর্কতামূলক গল্প হয়, তাহলে এই সমাধান অন্য জায়গাতেও সমানভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

টাইম-এর প্রকাশনা শুরু হয় ১৯২৩ সালের মার্চ মাসে। ব্রিটন হ্যাডেন ও হেনরি লুস এই সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও সাউথ প্যাসিফিক সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে ম্যাগাজিনটির। এখন প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ পাঠক আছে ম্যাগাজিনটির।

Comments

The Daily Star  | English

Where should I invest my money?

Amid persistently higher inflation in Bangladesh for more than a year, the low- and middle-income groups are struggling to meet their daily expenses.

13h ago