টিটিই শফিকুল ইসলামকে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার

ব্রিফ করছেন রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. শাহীদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রেলওয়ের পাকশী বিভাগের ঈশ্বরদী সদর দপ্তরে কর্মরত ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলামকে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে রেলওয়ে পাকশী বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. শাহীদুল ইসলাম এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'শফিকুল ইসলাম বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এ মুহূর্ত থেকেই তিনি আবার কাজে যোগ দিতে পারবেন।'

এ বিষয়ে তদন্তের সময়সীমা আরও ২ দিন বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, টিটিই শফিকুল ইসলামকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরখাস্ত করা হয়েছিল উল্লেখ করে সেই আদেশ প্রত্যহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।  

এ ধরনের আদেশ জারি করায় রেলওয়ের পাকশী বিভাগের বাণিজ্য কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সকালে রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণকারী ৩ যাত্রীর কাছ থেকে জরিমানাসহ টিকিটের টাকা আদায় করায় টিটিই শফিকুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

তবে রেলওয়ে জানায়, যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।

ঘটনার বিষয়ে শফিকুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঈশ্বরদী থেকে ৩ জন যাত্রী বিনা টিকিটে এসি কেবিনে উঠে বসেন। তারা নিজেদের রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। শফিকুল ওই ৩ যাত্রীকে নন-এসি টিকিটের ভাড়া হিসেবে ৩৫০ টাকা করে এক হাজার ৫০ টাকা নিয়ে নন-এসির টিকিট দেন।

শফিকুল ইসলাম গত শনিবার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তাদের কাছ থেকে মোট ১ হাজার ৫০ টাকা ভাড়া আদায় করেছি এবং তার রিসিটও দিয়েছি। এসময় তাদের সঙ্গে আমি কোনো খারাপ আচরণ করিনি এবং তারাও কিছু বলেননি। খারাপ আচরণ করার তো প্রশ্নই ওঠে না।'

এসময় রেলের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন জানিয়ে শফিকুল বলেন, 'তারা এসি কামরাতে বসেই ঢাকা এসেছেন। বিষয়টি নিয়ে ট্রেনের মধ্যে কোনো সমস্যা না হলেও পরবর্তীতে ঢাকা পৌঁছানোর পর ওই যাত্রীরা আমার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অসদাচরণের অভিযোগ করেছেন বলে শুনেছি এবং এরপর আমাকে বরখাস্ত করা হয়।'

Comments

The Daily Star  | English
Technical education hit by teacher shortage

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

11h ago