ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজট

অতিরিক্ত যানবাহন ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের ভোগান্তি হচ্ছে অনেক বেশি।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পৌলী এলাকা থেকে সকাল ৮টায় তোলা। ছবি: মির্জা শাকিল/স্টার

অতিরিক্ত যানবাহন ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের ভোগান্তি হচ্ছে অনেক বেশি।

এ ছাড়াও, গরু নিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করা ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এরমধ্যে কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টি তাদের দুর্ভোগ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া পর্যন্ত উত্তরবঙ্গমুখী লেনের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের করাতিপাড়া, আশেকপুর, ঘারিন্দা, রাবনা, রসুলপুর, পৌলি ও এলেঙ্গা এলাকা যানজটে স্থবির হয়ে গেছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, মহাসড়কে ভোর থেকে গাড়ির চাপ আছে। এরমধ্যে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েকটি দুর্ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহন সরাতে সময় লাগায় পরিবহনের চাপ আরও বেড়ে গেছে। তবে, দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রয়োজনীয় গণপরিবহনের অভাবে অনেককেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকের ওপর গাদাগাদি করে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। 

ছবি: মির্জা শাকিল/স্টার

বঙ্গবন্ধু সেতুর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্র জানিয়েছে, দুই প্রান্তে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকলেও সেতুর ওপর দিয়ে যান পারাপার অব্যাহত রয়েছে। 

ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলে আসা তানভীর আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা থেকে গতকাল সোমবার বিকালে বাসে উঠেছিলাম টাঙ্গাইল যাওয়ার জন্য। আব্দুল্লাহপুর পাড় হতেই যানজটের কবলে পড়তে হয়। রাত ১০টায় আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়া বেড়িবাঁধ পর্যন্ত এসে আবারো আটকে যায় গাড়ি। ফলে সারারাত যানজটে আটকা ছিলাম। সকালে টাঙ্গাইল এসে পৌঁছেছি।’

বাসচালক আলী আজগর বলেন, ‘১৪ দিন বাস বন্ধ থাকার পর ঈদ উপলক্ষে খুলে দিয়েছে। তাও আবার যানজট। এক কিলোমিটার এলাকা আসতে এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। ঈদের আগে শুধু ভোগান্তি আর ভোগান্তি।’

ট্রাকচালক শরীফ বলেন, ‘গতকাল পৌলি থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যেতে আমার প্রায় ছয় ঘণ্টা সময় লেগেছে।’

উল্লেখ্য, ঈদে যানজট নিরসনে মহাসড়কে জেলা পুলিশের ৬৩০ জন সদস্য ছাড়াও হাইওয়ে পুলিশের দুই শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

Comments

The Daily Star  | English
No respite from heat wave for five days: BMD

Heat takes a toll on expecting mothers

The ongoing heatwave has exacerbated the challenges faced by everyone in the country, but the situation has become particularly difficult for expecting mothers.

1h ago