খালে পয়ঃনিষ্কাশনের লাইন থাকবে না

ঢাকা শহরে এখন ৭০ ভাগ এলাকায় পানি জমে না: তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, মাত্র দেড় বছরের মধ্যে এই বর্ষা মৌসুমে আমরা প্রমাণ করেছি ঢাকা শহরে এখন ৭০ ভাগ এলাকা আর প্লাবিত থাকে না। পানি জমে না।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহর দীর্ঘ দিন ধরে পানিতে নিমজ্জিত থাকতো বর্ষা মৌসুমে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসগুলো ঢাকাবাসীর জন্য নাভিঃশ্বাসের মাস। অস্বস্তির মাস এবং ঢাকা শহরের ৭০ ভাগ এলাকা পানিতে প্লাবিত হতো।

আজ রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন ঢাকা সমন্বিত বন্যা প্রতিরোধ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৩৭টি রেগুলেটর/ড্রেনেজ আউটলেট স্ট্রাকচার এবং বুড়িগঙ্গা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত ১৮টি ড্রেনেজ আউটলেট স্ট্রাকচার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তাপস বলেন, এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। ঢাকা শহরে বন্যা হওয়ার কিছুটা আশঙ্কা রয়েছে। পানির সীমা বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও বিপৎসীমার নিচে এখনো রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইকোনোমিস্ট ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের বাসযোগ্য শহরের সূচকে ঢাকা ৪ ধাপ উন্নীত হয়েছে। আমরা সিরিয়া, করাচির নিচে ছিলাম। ২০২১ সালে যখন এই সূচক প্রকাশিত হলো তখন আমরা বিভিন্নভাবে সমালোচিত হয়েছি। যদিও ঢাকা শহর এই অবস্থানে দীর্ঘ দিন ধরেই ছিল। কিন্তু ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা, জনগণের প্রত্যাশা মেয়র দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে সব পরিবর্তন হয়ে যাবে। আজ অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলি, আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে গভীরে গিয়েছি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, এই বিষয়ের গভীরে গিয়ে কীভাবে এ থেকে আমরা উত্তরণ করতে পারি। গত পরশু এই প্রতিবেদন আবার প্রকাশিত হয়েছে। আগে আমরা ছিলাম নিচের দিক থেকে ৩ নম্বরে। এখন আমরা ৭ নম্বরে উন্নীত হয়েছি।

দক্ষিণ সিটি মেয়র বলেন, আগে বাসযোগ্য শহরের সূচক দেওয়া হতো আর আমরা এই গ্লানি নিয়ে চুপ করে বসে থাকতাম। ইকোনোমিস্ট ইন্টিলিজেন্স ইউনিট তাদের নিজস্ব গবেষণায় নিজস্ব ব্যক্তিদের দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রতিবেদন করে থাকে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের তেমন কোনো উপায় নেই, কাদের মাধ্যমে এই তথ্য সংগ্রহ করে সে বিষয়টিও সেভাবে জানা নেই। অনেকটা সহনশীল হয়ে গেছে এভাবে আমরা নিয়েছিলাম। আমাদের নগর পরিকল্পনা বিভাগকে এই দায়িত্ব দিয়েছি এবং ইকোনোমিস্ট ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে যত রকম তথ্য দেওয়া যায়; তারা ৫টি খাত বিশ্লেষণ করে, এর আগে কোনো সময় তথ্য দেওয়া হতো না। আমরা এখন থেকে তথ্য দেওয়া আরম্ভ করেছি, ২০২১ থেকে। সেই তথ্যের প্রতিফলন এখন পেয়েছি।

আমরা মনে করি, আমরা যে পরিমাণ কাজ করেছি সেটাতে আমাদের আরও উন্নীত হওয়া উচিত কিন্তু তারা আমাদের অনেক তথ্য সেভাবে গ্রহণ করে না। স্বাস্থ্য খাতে তারা বলেছে একটি শহরে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। সে জন্য ওই শহরকে তারা সূচকের উপরের দিকে রেখেছে। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা শহরে প্রায় ১ কোটি মানুষকে আমাদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে টিকা দিয়েছি, এই তথ্য তারা গ্রহণ করেনি। এটা যদি গ্রহণ করতো তাহলে স্বাস্থ্য খাতে আমরা যে কী বিপ্লব করেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে—যেখানে ধারণা করা হয়েছিল, ঢাকাসহ বাংলাদেশে অগণিত মানুষ মারা যাবে, আমরা যে সেটা রোধ করেছি কতটা সফলতার সঙ্গে এই বিষয়টা যদি তারা গ্রহণ করতো তাহলে আমরা সূচকে আরও উন্নয়ন করতে পারতাম।
 
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের খালে কোনো ধরনের পয়ঃনিষ্কাশনের লাইন কেউ দিতে পারবে না। সেটা খাল, লেক বা জলাধার হোক। আমাদের খালে পরিষ্কার পানি প্রবেশ করতে পারবে, কোনো ধরনের দূষিত পানি প্রবেশ করতে দেবো না। আমরা যদি দেখি খালের ভেতর দূষিত পানির প্রবেশ হচ্ছে, যে-ই হোক না কেন ড্রেন আমরা বন্ধ করে দেবো। ১ সেপ্টেম্বর থেকে কোনো বাসা-বাড়িতে ডিরেক্ট কোনো ধরনের কানেকশন দিতে পারবে না। যদি দেওয়া হয় সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেবো। ১০ তলা বিল্ডিং করবেন, শপিং মল করবেন আর কানেক্টিভিটি দিয়ে দেবেন আমাদের খালের ভেতরে এটি হবে না।

Comments

The Daily Star  | English

Rain likely over four divisions

Weather may remain mainly dry with temporary partly cloudy sky elsewhere over the country, according to a Met Office bulletin in Dhaka.

42m ago