‘ত্বকীসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই’

ছবি: স্টার

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত ত্বকীর বাবা বলেছেন, 'আজকে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে যেভাবে দেউলিয়া করা হয়েছে। আমরা তার নিন্দা জানাই। দেশের মানুষের বিচার পাওয়ার স্বাধীনতা, বিচার পাওয়ার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার, আমরা নিশ্চিত করার দাবি জানাই।'

আজ শুক্রবার রাতে শহরের ডিআইটি আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগার ও নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গনে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ১০৩ মাস উপলক্ষে বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের মাসিক কর্মসূচি মোম প্রজ্জলন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, 'ভোট দেওয়ার যে অধিকার রয়েছে, সংবিধান যে অধিকার নিশ্চিত করেছে আমরা সেই অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানাই। আমরা একটি মানবিক মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানাই। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই। আমরা ত্বকী সহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'ওসমান পরিবার গোটা নারায়ণগঞ্জকে কুক্ষিগত করতে চায়। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন যে সংগঠন রয়েছে, সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন, ক্লাব এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় এবং কার্যত তারা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় এসব সংগঠনগুলো থেকে বিতারিত করেছে। কারণ জানে নির্বাচন যদি হয় এসমস্ত সংগঠনে তাহলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এ ওসমান পরিবার বাঘকে অত ভয় পায় না নির্বাচনকে যত ভয় পায়। কারণ তারা জানে যদি মানুষ স্বাধীন ভাবে ভোট দেয় তাহলে তাদের জামানত থাকবে না।'

তক্বী হত্যাকাণ্ডের তদন্তের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'র‌্যাব এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সম্পন্ন করেছে। তারা একটি অভিযোগপত্র সংবাদ সম্মেলন করে জাতির কাছে উথাপন করেছিল।'

নিহত ত্বকীর বাবা আরও বলেন, 'দুই একদিন আগে দেখলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন, 'বিচারের বাণী আর যেন নিরবে নিভৃতে না কাঁদে'। তার এ কথাটায় আমরা উৎসাহিত হবো না দুঃখ পাবো? সাড়ে ৮ বছর একটা (ত্বকী হত্যার) বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ। আর তিনি বললেন বিচারের বাণী আর যেন নিরবে নিভৃতে না কাঁদে। এর আগে এক বার বলেছিলেন, শিশু হত্যাকারীরা ঘৃণ্যজীব। এগুলো কি শুধুই রাজনীতির কথা, নাকি কথার কথা?'

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উদীচী জেলা সভাপতি জাহিদুল হক দীপু, সামাজিক সংগঠন সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজনসহ অনেকে।

২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে ত্বকী শহরের শায়েস্তাখান সড়কের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। ৮ মার্চ সকালে চাড়ারগোপে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। ত্বকী হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ৮ জনই পলাতক। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ধেহে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ আসামি ইউসুফ হোসেন লিটন ও সুলতান শওকত ভ্রমর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু এ হত্যাকান্ডের ৮ বছর পার হলেও এখনও পর্যন্ত মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
International Crimes Tribunal 2 formed

Govt issues gazette notification allowing ICT to try political parties

The new provisions, published in the Bangladesh Gazette, introduce key definitions and enforcement measures that could reshape judicial proceedings under the tribunals

1h ago